সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

কত ধানে কত চাল

পাল্টা আঘাত হানছে হামাস : ১৫ ইসরাইলি সৈন্য নিহত
ইসরাইলের প্রচণ্ড আক্রমণের মুখে পিছু না হটে পাল্টা আঘাত হানছে গাজার ইসলামী প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস। পাল্টা হামলায় অন্তত ১৫ ইসরাইলি সৈন্য নিহত হয়েছে।

এর মধ্যে হামাসের সামরিক শাখা আল-কাসেম ব্রিগেড শনিবার ইসরাইলের অভ্যন্তরে ঢুকে ছয় ইসরাইলি সৈন্যকে হত্যা করেছে বলে দাবি করেছে। তারা গাধার দেহে বিস্ফোরক বোঝাই করে ইসরাইলি একটি চেকপোস্ট উড়িয়ে দেয়ার প্রয়াস চালায়।

হামাসকে কাবু করার লক্ষ্যেই ইসরাইল ১৩ দিন ধরে স্থল, আকাশ ও পানিপথে প্রচণ্ড হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। এতে বিপুল ক্ষতি হলেও হামাস নতজানু হয়েছে, এমন প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে না। বরং মনে হচ্ছে, তারা এ ধরনের হামলার জন্য প্রস্তুত হয়েছিল এবং তারা তাদের করণীয় ঠিক করে রেখেছিল।

হামাসের সামরিক শাখা আল কাসেম ব্রিগেডের উদ্ধৃতি দিয়ে সিএনএন জানিয়েছে, তারা ছয় ইসরাইলি সৈন্যকে হত্যা করেছে। ওই হামলায় রকেটচালিত গ্রেনেডের সাহায্যে ইসরাইলের তিনটি সামরিক জিপও ধ্বংস হয়েছে এবং একটি পালিয়ে গেছে বলে তারা দাবি করেছে। তারা ইসরাইলের দুটি এম-১৬এস দখল করার দাবিও করেছে। ওই অভিযানে হামাসের ১২ জন অংশ নিয়েছিল বলে সংস্থাটি জানিয়েছে।

তবে ওয়াশিংটন পোস্ট জানিয়েছে, শনিবার হামাস যোদ্ধারা ইসরাইলি সৈন্যের ইউনিফর্ম পরে মধ্য গাজা থেকে সুড়ঙ্গ দিয়ে ইসরাইলের অভ্যন্তরে ঢুকে পড়ে। তারপর ইসরাইলি সেনাবাহিনীর একটি টহল দলের ওপর হামলা চালায়। এতে দুই ইসরাইলি সৈন্য নিহত ও অন্য দুজন আহত হয়। সেনাবাহিনী পাল্টা গুলি করলে এক হামাস যোদ্ধা নিহত হয়, অন্যরা সুড়ঙ্গপথে ফিলিস্তিনি এলাকায় চলে যায়। এই যুদ্ধে এ নিয়ে মোট তিন ইসরাইলি সৈন্য নিহত হলো।

সামরিক বিশ্লেষকরা বলছেন, ২০০৯ ও ২০১২ সালের দুটি সংঘর্ষের চেয়ে এবার হামাস অনেক বেশি প্রস্তুত বলে মনে হচ্ছে। তারা স্বল্প ও দূরপাল্লার লাখ লাখ রকেট তৈরি করে রেখেছে। তাদের হাতে অত্যাধুনিক অস্ত্রও রয়েছে। তারা এ পর্যন্ত ১৭৭০টি রকেট নিক্ষেপ করেছে।

ইসরাইলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, সুড়ঙ্গপথে যেসব হামাস সদস্য ইসরাইলে ঢুকেছিল, তাদের হাতে হ্যান্ডকাফ ছিল। এতে মনে হয়, তারা ইসরাইলি সৈন্যদের অপহরণ করার পরিকল্পনা করছিল।

ইসলামিক জিহাদ নেতা জিয়াদ নাকালা ফিলিস্তিনের একটি রেডিওকে জানান, ‘গাজা উপত্যকার ফিলিস্তিনি জনগণ শত্রুদের কাছে আত্মসমর্পণ করবে না বা সাদা পতাকা ওঠাবে না।

তিনি বলেন, ‘আমাদের শত্রুরা যতদিন পর্যন্ত আমাদের দাবির প্রতি সাড়া না দেবে, ততদিন পর্যন্ত আমরা সম্ভব সব পন্থা খোলা রাখব।হামাস গাজার ওপর থেকে অবরোধ তুলে নেয়ার দাবিতে অটল রয়েছে।


মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

ভন্ড পীরের গোমর ফাক-২য় পর্ব

মাজারে সিজদা করা বৈধ কি ??? জিজ্ঞাসা : এক. ফেরেস্তারা হযরত আদমকে যেভাবে সম্মানপূর্বক সিজদা করেছিল সেভাবে বর্তমান যামানায় ওলী-আউলিয়াদের মাজারে সিজদা করা বা মাথা ঝুকানো জায়েজ কি না? জায়েজ না হলে প্রমাণ কী? দুই. সুন্নত তরিকায় কবর জিয়ারতের পদ্ধতি কী? বিস্তারিত জানালে কৃতজ্ঞ থাকব। জবাব : এক. ইবাদতের উদ্দেশ্যে আল্লাহ ছাড়া কাউকে সেজদা করা বা মাথা নোয়ানো কোনো কালেই বৈ ধ ছিল না। তবে সম্মান জ্ঞাপনার্থে সেজদা করা মাথা নোয়ানো পূর্ববর্তী যুগে বৈধ ছিল। কিন্তু ইসলাম ধর্মে শিরকের গন্ধ পর্যন্ত মিটিয়ে খালেস তাওহিদ প্রতিষ্ঠার্থে সম্মান সূচক সেজদা ও মাথা নোয়ানোও হারাম করে দেয়া হয়েছে। তাই ইসলাম ধর্মে কোনো ব্যাখাতেই ওলী-আউলিয়াগণের মাজারে-দরবারে সেজদা করা বা মাথা ঝুকানোর অবকাশ নেই। ফেরেস্তাগণ কর্তৃক স্বয়ং আল্লাহ পাকের হুকুমে আদম আ. এর প্রতি সম্মান প্রকাশার্থে সেজদা করার বিষয়টি আসমানী জগতের সাথে সম্পৃক্ত। এটি উর্দ্ধ জগতের বৈশিষ্ট। তার সাথে দুনিয়ার জগতের বিধি বিধান তুলনীয় নয়। সুতরাং এ দ্বারাও বিভ্রান্ত হওয়া যাবে না। দুই. কবর জিয়ারতের ইচ্ছা হলে মুস্তাহাব হলো প্রথমে দুই ...

ভন্ড-বেদাতীর গোমরফাক ১ম পর্ব

রাসূল সা. হাজির নাজির কিনা ? প্রশ্ন: আস সালামু আলাইকুম , আশা করি ভাল আছেন , আমার প্রশ্ন , নবী করিম সা. হজির ও নাজির কি না ? যারা পক্ষে বলে তাদের দলিল হলো সূরা আহযাবের একটি আয়াতের শাহদান শব্দ। এই শব্দের ব্যখ্যা কি ? মেহেরবানী করে দলিল সহ উত্তর দিবেন।   উত্তর: হাজির ও নাজির শব্দদুটো আরবী। হাজির অর্থ বিদ্যমান বা উপস্থিত। আর নাজির অর্থ দ্রষ্টা। যখন এ শব্দ দুটিকে এক সাথে মিলিয়ে   ব্যবহার করা হয় তখন অর্থ হয় ঐ স্বত্তা যার অস্তিত্ব এক স্থানে সীমাবদ্ধ নয় , বরং তার অস্তিত্ব একই সময়ে গোটা দুনিয়াকে বেষ্টন করে রাখে এবং দুনিয়ার প্রত্যেকটি জিনিসের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত অবস্থা তার দৃষ্টির সামনে থাকে। পূর্বোক্ত ব্যখ্যা অনুসারে হাজির নাজির এটি একমাত্র আল্লাহ তায়ার সিফাত এবং তার জন্যই প্রযোজ্য , এমনকি নবী সা. বা কোন ওলী সব জায়গায় হাজির নাজির হতে পারে না। আল্লাহ তায়ালার সিফাতের সঙ্গে বান্দাকে মিলানো কুফর , শিরক ও চরম ভ্রষ্টতা। বিদাতীদের আক্বীদা মতে শুধু হুজুরে পাক সা. নন , বরং বুজুরগানে দ্বীনও পৃথিবীর সবকিছুকে হাতের তালুর মত দেখতে পান। তারা দূরের ও কাছের আওয়াজ শুনতে পান এবং হাজার হাজার মা...

রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বাতিলের সম্ভাব্য পরিণতি!!!

সংবিধান থেকে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম তুলে দিলে আমরা যে সকল সমস্যার সম্মুখীন হতে পারি ➖➖➖➖➖➖➖➖➖➖ শুধুমাত্র লাইক, কমেন্ট, শেয়ার, কপিই নয়! সম্ভব হলে লিফলেট ছেপে লেখাটি ছড়িয়ে দিন!! : রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বাতিলে সমস্যা কোথায়? প্রশ্নবানে জর্জরিত হচ্ছি, সমস্যা কোথায়? প্রশ্ন আসছে সব শ্রেণী থেকে। প্রথম কথা হচ্ছে, কেউ আমার হাত কাটলেও ব্যথা পাই, আঙুল কাটলেও। কারণ হাত-পা সবই আমার! ইসলামী বিধান প্রতিষ্ঠিত নাই বলে সংবিধান থেকেও মুছে দিতে হবে? হাত কাটা রুখতে পারি নি বলে পা কাটারও সুযোগ দেবো? কারো শরীরে অনুভূতি না থাকলে সেটা তার ব্যাপার, আমি কালিমা পড়েছি, দ্বীনের যে কোন বিষয়ে আঘাত আসলে আমার কলিজায় লাগে! এবার আসল কথায় ফিরে যাই; ক. ইসলামী শরী’আহ হচ্ছে কোন বিধান পালন না করলে আপনি গুনাহগার, বেঈমান নন, কিন্তু অস্বীকার করলে বেঈমান। সংবিধান থেকে সরিয়ে দেওয়ার অর্থ হচ্ছে আপনি অস্বীকার করছেন! খ. বুদ্ধিমানদের কাজ হচ্ছে ইতিহাস থেকে শিক্ষা নেওয়া, আপনি কামাল আতার্তুকের তুরস্কের ইতিহাস পড়ুন, বুঝবেন কেন আমাদের এতো মাথাব্যথা! গ. প্রধানমন্ত্রী তনয় ও আইটি উপদেষ্টা জয় সাহেবের সে বক্তব্...