কথিত পিচ টিভির আহলে হাদীস আলেম দ্বীন বিধ্বংসী ঐক্য বিধ্বংসী মতিউর
রহমান সাহেব বলেছেন “কবর থেকে ফয়েজ আসে” এমন আকিদা রাখা শিরক । এমন আকীদা
রাখেন দেওবন্দী আলেমগণ । তিনি তার লেকচারে কয়েকজন দেওবন্দী আলেমের নামও
উল্লেখ করেছেন । এখানে আমি কয়েকটি বিষয় আরজ করব ।
১- সহীহ বুখারিতে ইমাম বুখারী এক অনুচ্ছেদের শিরোনাম দিয়েছেন بَابُ مَا جَاءَ فِي قَبْرِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَبِي بَكْرٍ وَعُمَرَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا।
এই অনুচ্ছেদের অধীনে ইমাম বুখারী রাহ. উমর রা.এর ঐ হাদীস উল্লেখ করেছেন, যাতে তিনি ইবনে উমর রা.এর মাধ্যমে আয়েশা রা.এর কাছে রাসুলের কবরের পাশে শায়িত হওয়ার অনুমতি চেয়ে ছিলেন । আয়েশা রা.বলেন, “আমি এই জায়গা আমার (দাফনের) জন্য পছন্দ করে রেখে ছিলাম । কিন্তু আমি তা উমরকে দিয়ে দিলাম।”
সহীহ বুখারীর ভাষ্যকার হাফেয ইবনে হজর আসকালানী রাহ. এই হাদীসের ব্যাখ্যায় লিখেন,
وفيه الحرص على مجاورة الصالحين في القبور طمعا في إصابة الرحمة إذا نزلت عليهم وفي دعاء من يزورهم من أهل الخير
‘এই হাদীসের মাঝে এই কথার প্রমাণ পাওয়া যায় যে, কবরে নেককারদের সাথে প্রতিবেশীত্ব(পাশাপাশি শয়ন)লাভ করার কামনা করা উচিৎ এই নিয়তে ও আশায় যে, নেককারদের উপর বর্ষিত রহমত যেন তার কাছেও পোঁছে । এবং নেক লোক যখন তার কবর যিয়ারত করে ও তার জন্য দুআ করে সেও রহমতের অংশ লাভ করে ।-ফাতহুল বারী ৩/২৫৮,
সহীহ বুখারীর এই বিজ্ঞ ভাষ্যকারের বক্তব্য থেকে হয়ত বিচক্ষন পাঠক বুঝতে পেরেছেন যে, এটি আসলে বিদআত ও শিরক নয়।
(যাই হোক এখানে আমার দলীল পেশ উদ্দেশ্য নয় )
২-কথিত আহলে হাদিস আলেম এই মতিউর রহমান সাহেব “হাদাহুল্লাহু” কবর থেকে ফয়েজ আসে এমন আকীদাকে তার এক লেকচারে শিরক বলেছেন । বর্তমান কথিত আহলে হাদীসদের আকীদাও তাই । এবং তিনি সাথে সাথে এও বলেছেন যে, দেওবন্দীরা এই শিরকী আকীদা রাখে । সেখানে তিনি কয়েকজন দেওবন্দী আলেমের নামও উল্লেখ করেছেন । কিন্তু তিনি এখানে যে খেয়ানত করেছেন তাহল, আহলে হাদীস অনেক আকাবির আলেমও এই শিরকী (তাদের মতে) আকীদা রাখেন । কিন্তু তিনি তাদের নাম উল্লেখ করেন নি । আমি এখানে শুধু আহলে হাদীস ফেরকার দুইজন বানীর (প্রতিষ্ঠাতার) নাম ও তাদের বক্তব্য উল্লেখ করব ।
আহলে হাদীস ফেরকার প্রতিষ্ঠাতা নবাব সিদ্দীক হাসান খান স্বীয় কিতাব “আত তাজুল মুকাল্লিল”এ তার পিতা আবু আহমাদ হাসান বিন আলী আল হুসাইনীর স্মরণে লিখেন,
ولا يزال يري النور على قبره الشريف والناس يتبركون به
“তার কবর শরীফে সর্বদা নুর থাকে । আর লোকজন তার কবর থেকে বরকত লাভ করে।”-আত তাজুল মুকাল্লিল, পৃষ্ঠা-৫৪৩, মাক্তাবাতুস সালাম,
ফেরকায়ে আহলে হাদীসের আরেকজন প্রতিষ্ঠাতা আল্লামা ওয়াহিদুজ্জামান বলেন,
ولا ازال السلف والخلف يتبركون باثار الصلحاء ومشاهدهم ومقاماتهم و ابارهم وعيونهم ولم يقل احد ان التبرك بمثل هذه الاشياء شرك
সালাফ ও খালাফগন (পূর্বসূরি ও উত্তরসূরিগণ) নেককারদের নিদর্শন, কবর, স্থান, কুপ-ঝর্না সমূহ থেকে বরকত লাভ করে থাকেন । কেও একথা বলেন না যে, এগুলো থেকে বরকত লাভ করা শিরক । তিনি আরও বলেন,
قلت بهذا يدفع الشبهة التي اوردها القاصرون انه كيف يمكن استحصال الفيوض و البركات وبرد القلب والانوار من قلب انوار الصلحاء بزيارة قبورهم
এর দ্বারা ঐ সন্দেহেরও নিরসন হয় যা কিছু স্বল্প জ্ঞানসম্পন্ন লোকজন বলে থাকে যে, “নেককারদের কবর যিয়ারত করে তাদের রুহ সমূহ থেকে ফয়েজ, বরকত ও নুর সমূহ লাভ করা কি করে সম্ভব ?” – হাদিয়াতুল মাহদী, পৃষ্ঠা-৩২,৩৩,৩৪,
৩-সংক্ষেপে কিছু মাত্র লিখলাম । এগুলোর সবই মতি সাহেবদের নিকট ও সকল আহলে হাদীসদের নিকট শিরক । কিন্তু মতি সাহেবদের কাছে প্রশ্ন, দেওবন্দীদের নাম নিলেন, কিন্তু আপনার ফিহরিস্তে আপনাদের এই আস্থাভাজনদের নাম কোথায় ? আমার জানা মতে আজ পর্যন্ত কোন আহলে হাদীস আলেম তাদের এই আকীদা গুলো লিখে তা খণ্ডন করেন নাই । এই আসাবিয়াত কেন ? নিজের ঘড়ের লোক বলে ? এরা কি মুশরিক নয় ? হলে আপনাদের আলোচনায় তাদের নাম নেই কেন ? সবার কাছে উত্তর চাই ।
১- সহীহ বুখারিতে ইমাম বুখারী এক অনুচ্ছেদের শিরোনাম দিয়েছেন بَابُ مَا جَاءَ فِي قَبْرِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَبِي بَكْرٍ وَعُمَرَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا।
এই অনুচ্ছেদের অধীনে ইমাম বুখারী রাহ. উমর রা.এর ঐ হাদীস উল্লেখ করেছেন, যাতে তিনি ইবনে উমর রা.এর মাধ্যমে আয়েশা রা.এর কাছে রাসুলের কবরের পাশে শায়িত হওয়ার অনুমতি চেয়ে ছিলেন । আয়েশা রা.বলেন, “আমি এই জায়গা আমার (দাফনের) জন্য পছন্দ করে রেখে ছিলাম । কিন্তু আমি তা উমরকে দিয়ে দিলাম।”
সহীহ বুখারীর ভাষ্যকার হাফেয ইবনে হজর আসকালানী রাহ. এই হাদীসের ব্যাখ্যায় লিখেন,
وفيه الحرص على مجاورة الصالحين في القبور طمعا في إصابة الرحمة إذا نزلت عليهم وفي دعاء من يزورهم من أهل الخير
‘এই হাদীসের মাঝে এই কথার প্রমাণ পাওয়া যায় যে, কবরে নেককারদের সাথে প্রতিবেশীত্ব(পাশাপাশি শয়ন)লাভ করার কামনা করা উচিৎ এই নিয়তে ও আশায় যে, নেককারদের উপর বর্ষিত রহমত যেন তার কাছেও পোঁছে । এবং নেক লোক যখন তার কবর যিয়ারত করে ও তার জন্য দুআ করে সেও রহমতের অংশ লাভ করে ।-ফাতহুল বারী ৩/২৫৮,
সহীহ বুখারীর এই বিজ্ঞ ভাষ্যকারের বক্তব্য থেকে হয়ত বিচক্ষন পাঠক বুঝতে পেরেছেন যে, এটি আসলে বিদআত ও শিরক নয়।
(যাই হোক এখানে আমার দলীল পেশ উদ্দেশ্য নয় )
২-কথিত আহলে হাদিস আলেম এই মতিউর রহমান সাহেব “হাদাহুল্লাহু” কবর থেকে ফয়েজ আসে এমন আকীদাকে তার এক লেকচারে শিরক বলেছেন । বর্তমান কথিত আহলে হাদীসদের আকীদাও তাই । এবং তিনি সাথে সাথে এও বলেছেন যে, দেওবন্দীরা এই শিরকী আকীদা রাখে । সেখানে তিনি কয়েকজন দেওবন্দী আলেমের নামও উল্লেখ করেছেন । কিন্তু তিনি এখানে যে খেয়ানত করেছেন তাহল, আহলে হাদীস অনেক আকাবির আলেমও এই শিরকী (তাদের মতে) আকীদা রাখেন । কিন্তু তিনি তাদের নাম উল্লেখ করেন নি । আমি এখানে শুধু আহলে হাদীস ফেরকার দুইজন বানীর (প্রতিষ্ঠাতার) নাম ও তাদের বক্তব্য উল্লেখ করব ।
আহলে হাদীস ফেরকার প্রতিষ্ঠাতা নবাব সিদ্দীক হাসান খান স্বীয় কিতাব “আত তাজুল মুকাল্লিল”এ তার পিতা আবু আহমাদ হাসান বিন আলী আল হুসাইনীর স্মরণে লিখেন,
ولا يزال يري النور على قبره الشريف والناس يتبركون به
“তার কবর শরীফে সর্বদা নুর থাকে । আর লোকজন তার কবর থেকে বরকত লাভ করে।”-আত তাজুল মুকাল্লিল, পৃষ্ঠা-৫৪৩, মাক্তাবাতুস সালাম,
ফেরকায়ে আহলে হাদীসের আরেকজন প্রতিষ্ঠাতা আল্লামা ওয়াহিদুজ্জামান বলেন,
ولا ازال السلف والخلف يتبركون باثار الصلحاء ومشاهدهم ومقاماتهم و ابارهم وعيونهم ولم يقل احد ان التبرك بمثل هذه الاشياء شرك
সালাফ ও খালাফগন (পূর্বসূরি ও উত্তরসূরিগণ) নেককারদের নিদর্শন, কবর, স্থান, কুপ-ঝর্না সমূহ থেকে বরকত লাভ করে থাকেন । কেও একথা বলেন না যে, এগুলো থেকে বরকত লাভ করা শিরক । তিনি আরও বলেন,
قلت بهذا يدفع الشبهة التي اوردها القاصرون انه كيف يمكن استحصال الفيوض و البركات وبرد القلب والانوار من قلب انوار الصلحاء بزيارة قبورهم
এর দ্বারা ঐ সন্দেহেরও নিরসন হয় যা কিছু স্বল্প জ্ঞানসম্পন্ন লোকজন বলে থাকে যে, “নেককারদের কবর যিয়ারত করে তাদের রুহ সমূহ থেকে ফয়েজ, বরকত ও নুর সমূহ লাভ করা কি করে সম্ভব ?” – হাদিয়াতুল মাহদী, পৃষ্ঠা-৩২,৩৩,৩৪,
৩-সংক্ষেপে কিছু মাত্র লিখলাম । এগুলোর সবই মতি সাহেবদের নিকট ও সকল আহলে হাদীসদের নিকট শিরক । কিন্তু মতি সাহেবদের কাছে প্রশ্ন, দেওবন্দীদের নাম নিলেন, কিন্তু আপনার ফিহরিস্তে আপনাদের এই আস্থাভাজনদের নাম কোথায় ? আমার জানা মতে আজ পর্যন্ত কোন আহলে হাদীস আলেম তাদের এই আকীদা গুলো লিখে তা খণ্ডন করেন নাই । এই আসাবিয়াত কেন ? নিজের ঘড়ের লোক বলে ? এরা কি মুশরিক নয় ? হলে আপনাদের আলোচনায় তাদের নাম নেই কেন ? সবার কাছে উত্তর চাই ।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন