সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

2015 থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

শরীর চর্চার গুরুত্ব

প্রশ্নঃ- হাফিজ মাহবুবুর রহমান আপনার কাছে একটা প্রশ্ন কোরআন হাদীসে কি শরীরের ব্যায়াম সম্পর্কে কোন আয়াত অথবা হাদীস আছে যদি থেকে তাকে তাহলে বিস্তারিত বলবেন ??? উত্তরঃ- শরীরকে সুস্থ এবং মনকে নির্মল রাখতে হলে নিয়মিত শরীর চর্চা অর্থাৎ ব্যায়াম করতে হয়। চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা বলে থাকেন, শিশুকাল থেকে শুরু করে বৃদ্ধকাল পর্যন্ত সবারই শারীরিক সুস্থতার জন্য ব্যায়াম করা দরকার। একটি পূর্ণাঙ্গ ধর্ম হিসেবে ইসলামেও শরীর চর্চার ওপর জোর দেয়া হয়েছে। আমাদের প্রিয়নবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) নিজে নিয়মিত ব্যায়াম করতেন। এছাড়া তিনি নির্দোষ খেলাধুলা, ঘোড়দৌঁড়, কুস্তি ও তীর নিক্ষেপ চর্চার জন্য অন্যদেরকে উপদেশ দিতেন। তিনি বলেছেন, পিতার ওপর সন্তানের অধিকার হলো হলো, পিতা সন্তানকে লেখাপড়া, সাঁতার ও তীর-চালনা শেখাবে। শারীরিক শক্তি হচ্ছে, আল্লাহতায়ালার অন্যতম শ্রেষ্ঠ নেয়ামত। এজন্য রাসূল (সাঃ) বলেছেন-‘যে ঈমানদার ব্যক্তির শারীরিক শক্তি আছে, তিনি শ্রেষ্ঠ ও আল্লাহর নিকট প্রিয়।' কারণ ইবাদত করার জন্য শারীরিক শক্তি প্রয়োজন। আল্লাহর পথে সংগ্রাম করার জন্যও শক্তি প্রয়োজন। তিনি আরও বলেছেন, যে ব্যক্তি আল্লাহকে ভয় করে তার জন্য

মহিলারা নামাজ পড়বে কোথায় ???

সহীহ হাদীসের আলোকে মহিলাদের নামাজের উত্তমস্থান  . . সহীহ ও গ্রহণযোগ্য হাদীসের বর্ণনা মোতাবেক মহিলাদের জন্য মসজিদ অপেক্ষা ঘরে নামাজ আদায় করা উত্তম। এ সংক্রামত বহু সহীহ হাদীস রয়েছে। তন্মধ্য থেকে কয়েকটি হাদীস নিম্নে পেশ করছি-   عن أم حميد امرأة أبي حميد الساعدي : ” أنها جاءت النبي صلى الله عليه وسلم فقالت : يا رسول الله إني أحب الصلاة معك قال : قد علمت أنك تحبين الصلاة معي وصلاتك في بيتك خير لك من صلاتك في حجرتك وصلاتك في حجرتك خير من صلاتك في دارك وصلاتك في دارك خير لك من صلاتك في مسجد قومك وصلاتك في مسجد قومك خير لك من صلاتك في مسجدي ، قال : فأمرت فبني لها مسجد في أقصى شيء من بيتها وأظلمه فكانت تصلي فيه حتى لقيت الله عز وجل “. رواه أحمد ( 26550 ) . 1.        হযরত উম্মে   হুমাইদ আস সাআদী রা. থেকে বর্ণিত- একবার তিনি রাসুলুল্লাহ সা. এর নিকট এসে আরজ করলেন , হে আল্লাহর রাসুল! আমি আপনার পিছনে নামাজ আদায় করতে চাই। নবী করীম সা. উত্তরে ইরশাদ করলেন , আমি ভালো করেই জানি , তুমি আমার পিছনে নামাজ আদা

হেফাজতের সঙ্গে চরমোনাই পীরসাহেবের একাত্বতা নিয়ে যারা প্রশ্ন তুলেন ; তারা আগে ভিডিও ২টি দ্যাখেন ; তারপর মন্তব্য করেন !!!

হেফাজতের সঙ্গে চরমোনাই পীরসাহেবের একাত্বতা নিয়ে যারা প্রশ্ন তুলেন ; তারা আগে ভিডিও ২টি দ্যাখেন ; তারপর মন্তব্য করেন !!!

ভন্ড পীরের গোমর ফাক-২য় পর্ব

মাজারে সিজদা করা বৈধ কি ??? জিজ্ঞাসা : এক. ফেরেস্তারা হযরত আদমকে যেভাবে সম্মানপূর্বক সিজদা করেছিল সেভাবে বর্তমান যামানায় ওলী-আউলিয়াদের মাজারে সিজদা করা বা মাথা ঝুকানো জায়েজ কি না? জায়েজ না হলে প্রমাণ কী? দুই. সুন্নত তরিকায় কবর জিয়ারতের পদ্ধতি কী? বিস্তারিত জানালে কৃতজ্ঞ থাকব। জবাব : এক. ইবাদতের উদ্দেশ্যে আল্লাহ ছাড়া কাউকে সেজদা করা বা মাথা নোয়ানো কোনো কালেই বৈ ধ ছিল না। তবে সম্মান জ্ঞাপনার্থে সেজদা করা মাথা নোয়ানো পূর্ববর্তী যুগে বৈধ ছিল। কিন্তু ইসলাম ধর্মে শিরকের গন্ধ পর্যন্ত মিটিয়ে খালেস তাওহিদ প্রতিষ্ঠার্থে সম্মান সূচক সেজদা ও মাথা নোয়ানোও হারাম করে দেয়া হয়েছে। তাই ইসলাম ধর্মে কোনো ব্যাখাতেই ওলী-আউলিয়াগণের মাজারে-দরবারে সেজদা করা বা মাথা ঝুকানোর অবকাশ নেই। ফেরেস্তাগণ কর্তৃক স্বয়ং আল্লাহ পাকের হুকুমে আদম আ. এর প্রতি সম্মান প্রকাশার্থে সেজদা করার বিষয়টি আসমানী জগতের সাথে সম্পৃক্ত। এটি উর্দ্ধ জগতের বৈশিষ্ট। তার সাথে দুনিয়ার জগতের বিধি বিধান তুলনীয় নয়। সুতরাং এ দ্বারাও বিভ্রান্ত হওয়া যাবে না। দুই. কবর জিয়ারতের ইচ্ছা হলে মুস্তাহাব হলো প্রথমে দুই

ভন্ড-বেদাতীর গোমরফাক ১ম পর্ব

রাসূল সা. হাজির নাজির কিনা ? প্রশ্ন: আস সালামু আলাইকুম , আশা করি ভাল আছেন , আমার প্রশ্ন , নবী করিম সা. হজির ও নাজির কি না ? যারা পক্ষে বলে তাদের দলিল হলো সূরা আহযাবের একটি আয়াতের শাহদান শব্দ। এই শব্দের ব্যখ্যা কি ? মেহেরবানী করে দলিল সহ উত্তর দিবেন।   উত্তর: হাজির ও নাজির শব্দদুটো আরবী। হাজির অর্থ বিদ্যমান বা উপস্থিত। আর নাজির অর্থ দ্রষ্টা। যখন এ শব্দ দুটিকে এক সাথে মিলিয়ে   ব্যবহার করা হয় তখন অর্থ হয় ঐ স্বত্তা যার অস্তিত্ব এক স্থানে সীমাবদ্ধ নয় , বরং তার অস্তিত্ব একই সময়ে গোটা দুনিয়াকে বেষ্টন করে রাখে এবং দুনিয়ার প্রত্যেকটি জিনিসের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত অবস্থা তার দৃষ্টির সামনে থাকে। পূর্বোক্ত ব্যখ্যা অনুসারে হাজির নাজির এটি একমাত্র আল্লাহ তায়ার সিফাত এবং তার জন্যই প্রযোজ্য , এমনকি নবী সা. বা কোন ওলী সব জায়গায় হাজির নাজির হতে পারে না। আল্লাহ তায়ালার সিফাতের সঙ্গে বান্দাকে মিলানো কুফর , শিরক ও চরম ভ্রষ্টতা। বিদাতীদের আক্বীদা মতে শুধু হুজুরে পাক সা. নন , বরং বুজুরগানে দ্বীনও পৃথিবীর সবকিছুকে হাতের তালুর মত দেখতে পান। তারা দূরের ও কাছের আওয়াজ শুনতে পান এবং হাজার হাজার মাইল দূরের