সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

আগস্ট, ২০১৪ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

পর্দা সকলেই মেনে চলো

আধুনিক কালের অতি প্রগতিমনা কথিত ‘ সুভাজনরা ’ নারীর ইসলামী পর্দা প্রথা নিয়ে হৈচৈ করলেও ব্যক্তি জীবনে তারাও কিন্তু পর্দা মেনে চলেন কম-বেশী। বর্তমানে ইচ্ছায় হোক আর অনিচ্ছায় হোক পর্দা সকলকেই মেনে চলতে হয়। কারণ ,   পর্দার   এক অর্থ আবরণ । আরবী ‘ হিজাব ’ শব্দ থেকে উদগত পর্দার মূল শব্দের আভিধানিক অর্থ   এরকমই। এ অর্থে লক্ষ্য করলে দেখা যাবে , সভ্যতার সূচনা যেখান থেকে , পর্দার শুভযাত্রাও ঠিক সেখান থেকেই। মানুষ যখন থেকে বিবেক-বুদ্ধির উৎকর্ষের নিরিখে মাপতে সক্ষম হয়েছে , মানুষ প্রাণী তবে বন্য প্রাণী   নয় , না বন-বাধারের আর দশটি প্রাণীর মতো , তখন থেকেই মানুষ তাদের জীবন পদ্ধতিকে বন্যজীবন থেকে আলাদা করে স্বতন্ত্র আদলে নির্মাণ করতে সচেষ্ট হয়েছে। সূচনা পর্বে গাছের পত্র-পল্লব , ছাল-বাকলা এমনকি পশুর শুকনো চামড়া দ্বারা লজ্জা ঢাকার চেষ্ঠা করেছে। সহজে-সংক্ষেপে বলতে গেলে সভ্যতার বিকাশের ক্রমবিজয়ের স্বর্ণকালে   আজ যখন মানুষ প্রতিদিন চিন্তা   ও আবিস্কারের নতুন দিগন্ত ছুঁয়ে যাচ্ছে সেই সময় হরেক রঙের পোশাক কি সেই পত্র-পল্লব , গাছের ছাল-বাকলা আর পশুর চামড়ার   স্হলাভিষিক্ত নয় ?   তবে অবশ্যই তা

মুসলিম বালকের হাতে খ্রিস্টান প্রশিক্ষকের ইসলাম গ্রহণ

প্রবন্ধটি পড়া হলে , শেয়ার করতে ভুলবেন না মুসলিম বালকের হাতে খ্রিস্টান প্রশিক্ষকের ইসলাম গ্রহণ বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম ফিলিপাইনের জাতীয় সাঁতার দলের প্রশিক্ষক , ম্যানিলা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মনোবিজ্ঞানের ওপর ডিগ্রি নেয়া ক্যাপ্টেন আব্দুল কারীম এরসিনাস নিজের ইসলাম গ্রহণের গল্প তুলে ধরেন এভাবে- আল্লাহর অসংখ্য প্রশংসা যে , ( এরসিনাস) খ্রিস্টান পরিবারের প্রথম সদস্য হিসেবে তিনি আমাকে ইসলামে দীক্ষিত হওয়ার সৌভাগ্যে ভূষিত করেছেন।   আমার জন্ম ও শিক্ষা রাজধানী ম্যানিলার এক খ্রিস্টান পরিবেশে। এখানে কোনো মুসলিম নেই। ফিলিপাইনের দক্ষিণাঞ্চলগুলোতেই মুসলিমদের অবস্থান সীমিত। বাল্যকালে আমার পরিবার চাইতো গির্জায় আমি বেশি বেশি সময় দেই। বাবা যখন আমাকে গির্জায় নিয়ে যাবার সুযোগ করতে পারছিলেন না , তখন আমার বয়সে বড় এক ভাই এলেন। তিনি রোজ আমাকে গির্জায় নিয়ে যেতেন। আমি যখন যৌবনে পা রাখলাম , গির্জায় যেতে কোনো আগ্রহ বোধ করছিলাম না। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির পর নিজ ধর্ম খ্রিস্টবাদ নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করতে লাগলাম। এ সম্পর্কে বিস্তর পড়াশুনা শুরু করলাম। আমি বিস্ময়ের সঙ্গে দেখতে পেলাম

পর্দা ও নারীর ব্যক্তিত্ব

পর্দা ও নারীর ব্যক্তিত্ব বর্তমান সমাজে পর্দা ও নারীর ব্যক্তিত্ব খুবই পরিপুরক বিষয়। একটি নারীর স্বভাব চরিত্র সম্পর্কে আমরা খুব সহজে ধারণা পাই এ থেকে। আমরা রীতিমতোই লক্ষ করি , আমাদের সমাজে একজন মানুষ শিক্ষা , শিল্প , অর্থ ও কর্মে যত উন্নত হতে থাকে সামাজে তার মর্যাদা ও ব্যক্তিত্ব ততোই বৃদ্ধি পেতে থাকে। সেই সাথে আমরা এও লক্ষ করি , মর্যাদা ও ব্যক্তিত্বে একজন মানুষ যত উপরে ওঠতে থাকে ততোউ সে সাধারণের নাগারের বাইরে চলে যেতে থাকে। ধীরে ধীরে উচ্চ অট্রালিকার এমন প্রকোষ্টে   গিযে ঠাই নেয় তারা- যেখানে সাক্ষাতের উদ্দেশ্যে একজন সাধারণ নাগরিকের পৌছুতে কত বাধা , কত প্রচিীর পার করতে হয়্   অধিকন্তু তারা যদি ইচ্ছে করেন ও তাহলেও সেই সংরক্ষিত আবাস   ছেড়ে সাধারণ নাগরিকের পাশে এসে দাড়াতে পারেন না ; মুক্ত জীবন যাপন করতে পারেন না ; মুক্ত বিহঙ্গের মত ঘুরে বেড়াতে পারেন না। কথনো বেড়াতে বেরুলে একগাদা দেহরক্ষী তাকে বেষ্টন করে রাখে। আচ্ছা , এটা কি বন্দী জীবন নয় !!! নিশ্চয় এটা বন্দী এবং আবদ্ধ জীবন। কিন্তু আজ পর্যন্ত কোন প্রেসিডেন্ট , মন্ত্রী , সচিব কিংবা উচ্চ পদস্হ কর্মকর্তা কি আবদ্ধতার এই প্রচিীরকে

নারীর সৌন্দর্য নারীত্বে

আমাদের সমাজে একটি প্রবাদ  আছে, ছায়ার সাথে যুদ্ধ করা যায় না। নিজের ছায়ার বিরুদ্ধে লড়াই করে বিজয়ী হওয়া যায় না। আপনি আপনার ছায়ার বিরুদ্ধে লড়াই করবেন? করুন! আপনার ছায়া দাওয়াতও  দেবে না আবার বাধাও দেবে না। কিন্তু  আপনি যখন লড়াইয়ে অবতীর্ণ হবেন তখন হাত-পা গুড়ো করে রক্তমাখা বদনে- ব্যর্থ হয়ে ফিরে আসতে হবে আপনাকেই। ছায় যা ছিল তাই থাকবে। তার অশরীরি  গায়ে  কোন দাগও লাগবে না। এই যদি হয় বাস্তব সত্য, তাহলে কোন ব্যক্তি যদি তার অস্তিত্বের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে চায় তার দশা কী হবে? নিজের অস্তিত্বের বিরুদ্ধে লড়াই করলে পরিনামে নিজেকেই আহত-বিক্ষত হতে হবে, হতে হবে নি:শেষ – আর এটাইতো স্বাভাবিক।কারণ, যিনি সৃষ্টি করেছেন, শূন্য থেকে অস্তিত্ব দিয়েছেন, জীবন যাপনের যাবতীয় উপকরণ- এমনকি মানব গোষ্ঠীর সকল মেধা-বুদ্ধিও যাঁর দান, করূণার ফসল তাঁর আদেশের বিরোধিতা করার চেয়ে বড় বোকামী নির্বুদ্ধিতা নেমক হারামী আর কী হতে পারে? এটা ঠিক, তিনি সকল কিছু সৃষ্টি করেছেন এবং যাকে যে জন্য সৃষ্টি করেছেন তাকে তার উপযুক্ত করেই সৃষ্টি করেছেন। সে সুবাদেই বলতে হয়, নর আর নারী দু’জনের সৃষ্টি একই লক্ষে হয়নি। বাই দু’

তাকওয়া হাসিলের উপায়-৩

তাকওয়া হাসিলের উপায়-৩ মুফতী মুহাম্মাদ তাকী উসমানী ১ম পর্বের লিঙ্ক https://www.facebook.com/hedayet.islamic.org/posts/ 935168629833690 ২য় পর্বের লিঙ্ক   https://www.facebook.com/hedayet.islamic.org/posts/935741069776446 দ্বিতীয় আমল : শোকর দ্বিতীয় আমল হল ,   বেশি বেশি শোকরগোযারি করা । চিন্তা করে দেখুন , প্রতি মুহূর্তে আল্লাহ তাআলার কত অসংখ্য নেআমত আমাদের উপর বর্ষিত হচ্ছে। শরীরের প্রতিটি অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ আল্লাহ তাআলার নেয়ামত। এগুলো সবল ও কর্মক্ষম থাকা কত বড় নেয়ামত! স্বাভাবিক অবস্থায় এই সব নেয়ামতের মূল্য না বুঝলেও যখন কোনো একটি অঙ্গ অসুস্থ বা অকেজো হয়ে পড়ে তখন তার মূল্য বুঝে আসে। ইমাম বায়হাকী রাহ. শুআবুল ঈমান কিতাবে এক বুযুর্গের ঘটনা লিখেছেন। বুযুর্গ মারাত্মক অসুস্থ ছিলেন এবং চলাফেরাতেও অক্ষম ছিলেন। হাত-পা অবশ হয়ে গিয়েছিল। সেই করুণ অবস্থাতেও শুয়ে শুয়ে বলছিলেন যে , ‘ হে আল্লাহ! তোমার শোকর , তোমার শোকর । ’ এক ব্যক্তি বলল , হযরত! এত অসুখের মাঝেও শুকরিয়া আদায় করছেন ? তিনি বললেন , ভাই! আল্লাহ তাআলা তো আমার চোখ দুটো এখনও সুস্থ রেখেছেন। যদি এ দুটোও নষ