সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

মউদুদি ইসলাম ও নবীকে অপমান করেছে


#-:মিষ্টার_মওদূদী__জামাতে_ইসলামীর_আসল_চেহারা_:-
#============
======= 
#পর্ব
_(২)

মউদুদি ইসলাম ও নবীকে অপমান করেছে
ইসলাম আর আমাদের প্রিয় নবী (সঃ)কে অপমান করে কেউ কি মুসলিম হতে পারে?

নবীদের ক্ষেত্রে মওদুদীর বেয়াদবী পূর্ণ কিছু অংশ তুলে ধরলাম। "নবীগণ মা'ছুম নন। প্রত্যেক নবী গুনাহ করেছেন (নাঊযুবিল্লাহ) তাফহীমাত, ২য় খন্ড ৪৩ পৃষ্ঠা।
*উদাহরণ দিয়েছেন, মুসা (আঃ) এর উদাহরণ ঐ তাড়াহুরাকারী বিজেতার মত, যে নিজের অধীনতদের ভালমত নির্দেশ দেয়া ছাড়াই মার্চ করতে করতে চলে যায়। আর পিছনে জংলার অগ্নির মত বিজিত এলাকায় বিদ্রোহ ছড়িয়ে যায়। (নাঊযুবিল্লাহ) রেসালায়ে তরজুমানুল কুরআন, ২৯/৪-৫
 *হযরত দাউদ (আঃ) এর উদাহরণ দিতে গিয়ে লিখেছেন, হযরত দাউদ আঃ তার এলাকার ইসরাইলীদের সাধারণ রেওয়াজের বর্শবতী হয়ে উরিয়ার কাছ থেকে তালাকের আবেদন করেন। (নাঊযুবিল্লাহ) তাফহীমাত ২/৪২ দ্বিতীয় প্রকাশ {তাফহীমুল কোরআন} উর্দু, ৪র্থ খন্ড, সুরা সাদ ৩২৭ পৃষ্ঠা ১ম সংস্করণ অক্টোবর ১৯৬৬ ইং
মওদুদী কোরানের ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে জাতিকে বিভক্ত করেছে, । যেমনঃ সুরা আছরের শেষ আয়াতের তাওবা শব্দের ব্যাখ্যা করতে গিয়ে তিনি লিখেছেন, রাসুলের ভুল হয়েছিল তাই রসুলকে আল্লাহ তায়ালা ক্ষমা চাইতে বলেছেন।
এই রকম আরো জঘন্য ব্যাখ্যা সে করেছে। যার কারণে আল্লাহর গযব তার উপর নাযিল হয়েছিল। পাকিস্তান সরকার তাকে মৃত্যুদন্ড দিয়েছিল।
এখন প্রশ্ন জামাতে ইসলামী পথভ্রষ্ট কেন?
এ মর্মে ক্ষমা প্রার্থনা করুন যে, এ বিরাট কাজ (নবুয়তী দায়িত্ব) পালন করতে গিয়ে আপনি যে ভুল-ভ্রান্তি বা দোষ-ত্রুটি করেছেন, তা সব তিনি যেন মাফ করে দেন। তাফহীমুল কুরআন, ১৯ তম খন্ড, আবুল আলা মওদূদী, সূরা আন নসর, পৃষ্ঠা: ২৮৭। অনুবাদ: আবদুল মান্নান তালিব, আধুনিক প্রকাশনী, ঢাকা।
ইসলামী আকীদা
সূরা আন নসরের استغفار এর মর্মার্থ হচ্ছে, আপনি তাঁর নিকট মাগফেরাত বা ক্ষমা প্রার্থনা করুন। অথচ কুরআন সুন্নাহ, ইজমা ও কিয়াসের আলোকে প্রমাণিত যে, আমাদের প্রিয় নবীসহ সকল নবী রাসূলগণ যাবতীয় ছোট-বড় গুনাহ, ভুল-ত্রুটি থেকে মুক্ত। তাহলে এ আয়াতের অর্থ অবশ্যই তাবীল করতে হবে। যেমন যুগশ্রেষ্ঠ মুফাসসিরগণ এ আয়াতের সঠিক ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে বলেছেন, এখানে প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু তাআলা আলাইহি ওয়া সাল্লামকে নিজের গুনাহ ক্ষমা প্রার্থনা করতে বলা হয়নি, বরং উম্মতের গুনাহ মাফ চাইতে বলা হয়েছে।
উদাহরণস্বরূপ ইমাম জালাল উদ্দীন সুয়ূতী রাহমাতুল্লাহি আলাইহি আল-হাবী লিল ফাতওয়া গ্রন্থের ২য় খন্ডে আম্বাউল আম্বিয়া ফি হায়াতিল আম্বিয়া অধ্যায়ে লিখেছেন। 
اَلنَّظْرُ فِى أَعْمَالِ أُمَّتِه وَ الْاِسْتِغْفَارُ لَهُمْ مِنَ السَّيِّئَاتِ 
আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু তাআলা আলাইহি ওয়া সাল্লাম উম্মতের আমলগুলো দেখেন এবং তাদের পক্ষ থেকে আল্লাহর দরবারে (উম্মতের) গুনাহের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করেন। 
এটাই প্রিয় নবীর استغفار এর প্রকৃত অর্থ। অথচ মওদূদী استغفار এর অপব্যাখ্যা করতে গিয়ে প্রিয় নবীকে গুনাহগার বানানোর এবং নবুয়তী দায়িত্ব পালনে অক্ষমতার যে মনগড়া অভিযোগ স্থির করতে চেয়েছেন, তা প্রিয় নবীর পবিত্র শানে মস্ত বড় জুলুম ও বেয়াদবীর শামিল।
আরো দলীলের জন্য দেখুন  ঃ-
দলীলসমূহ: পবিত্র কুরআন, তাফসীরে আযীয, মাদারিজুন্নাবুয়াত, শরহে শিফা শরীফ, তাফসীরে রূহুল বয়ান, আল-আবী লিল ফতাওয়া।
মওদূদীর আকীদা
১. মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইসলাম ধর্মের প্রবর্তক নন। 

২. রাসূল না অতিমানব, না মানবীয় দুর্বলতা থেকে মুক্ত। তিনি যেমন খোদার ধন-ভান্ডারের মালিক নন, তেমনি খোদার অদৃশ্যের জ্ঞানেরও অধিকারী নন বলে সর্বজ্ঞ নন। 

৩. তিনি পরের কল্যাণ বা অকল্যাণ সাধন তো দূরে নিজেরও কল্যাণ বা অকল্যাণ করতে অক্ষম। 

৪. তিনি কোন কিছু হালাল বা হারাম করতে পারেন না। 
লন্ডনের ভাষণ, পৃষ্টা: ৩-১৯, কৃত: আবুল আলা মওদূদী, অনুবাদ: আখতার ফারূক, জুলকরনাঈন প্রেস, ৩৮, বানিয়া নগর, ঢাকা।

ইসলামী আকীদা
কুরআন সুন্নাহ, ইজমা ও কিয়াসের আলোকে অবশ্যই আমাদের প্রিয় নবী ইসলাম ধর্মের প্রবর্তক ছিলেন। পবিত্র কুরআনে اليوم أكملت لكم دينكم বলে প্রিয় নবীর মাধ্যমে ইসলামকে পরিপূর্ণতা দান করেছেন আল্লাহ তাআলা। তাই তিনি যদি ইসলাম ধর্মের প্রবর্তক না হন, তাহলে ইসলাম ধর্মের প্রবর্তক কে? অতিমানব অর্থ অলৌকিক ক্ষমতাসম্পন্ন ব্যক্তি। সুতরাং প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু তাআলা আলাইহি ওয়া সাল্লাম অতিমানব ছিলেন এবং মানবীয় দুর্বলতা থেকেও সম্পূর্ণ মুক্ত, পুতঃপবিত্র ছিলেন, বিধায় আজ তাঁর প্রদর্শিত দ্বীণ আমরা সঠিকভাবে পেয়েছি।
*তিনি খোদার ধন ভান্ডারের মালিকও ছিলেন। পবিত্র হাদীস শরীফে এরশাদ হয়েছে, 
اِنِّى أُوْتِيْتُ مَفاتيح خَزَائِنِ الْأَرْضِ
প্রিয় নবী স্বয়ং বলেছেন, আমাকে জমিনের খণিসমূহের চাবি দেওয়া হয়েছে বা ধন-ভান্ডারের মালিক বানানো হয়েছে। (বোখারী শরীফ, ২য় খন্ড, পৃষ্টা: ১০৪২। ) 

হযরত আবু হোরায়রা রাদিয়াল্লাহু তাআলা আনহু হতে এ ধরনের আরও একটি হাদীস বর্ণিত হয়েছে।
*এছাড়াও তাঁকে অদৃশ্যের জ্ঞান দেওয়া হয়েছে। পবিত্র কুরআনে এরশাদ হয়েছে: 
عِلْمُ الْغَيْبِ فَلَا يُظْهِر عَلى غَيْبِه أَحَدًا – اِلَّا من ارْتَضى مِنْ رَسول 
অদৃশ্যের জ্ঞাতা, আল্লাহ আপন অদৃশ্যের উপর কাউকে ক্ষমতাবান করেন না আপন মনোনীত রাসূল ব্যতীত।” ( সূরা আল জিন । আয়াত : ২৬।) 
এ আয়াতে প্রিয় নবীসহ আপন রাসূলদেরকে ইলমে গায়েব দেওয়ার বিষয়ে আল্লাহ তাআলা সুস্পষ্ট ঘোষণা রয়েছে।

*আর তিনি স্বয়ং আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে কল্যাণদাতা হিসাবেই প্রেরিত হয়েছেন। পবিত্র কুরআন শরীফে এরশাদ হয়েছে, 
وَمَآ أَرْسَلْناكَ اِلَّا رَحْمَةَ لِّلْعالَمِيْنَ 
হে নবী! আমি আপনাকে সমগ্র সৃষ্টি জগতের জন্য রহমত (কল্যাণ) স্বরূপ প্রেরন করেছি।”(সূরা আল আম্বিয়া, আয়াত: ১০৭ । ) 

অন্ধকারে নিমজ্জিত সমাজকে সত্য ন্যায়ের আলোতে আলোকিত করে, অসভ্য জাতিকে সভ্য করে, জাহান্নামীদেরকে জান্নাতের পথ প্রদর্শন করে তিনি কি কল্যাণ করেন নি ?
জামায়াতে ইসলামীর একটি সংস্থা ইসলামী সমাজ কল্যাণ পরিষদ যদি কল্যাণ করতে পারে তাহলে প্রিয় নবীর শানে কেন এত বড় বেয়াদবী ? 

পরিশেষে মওদূদীর আরেকটি ভ্রান্ত আকীদা হচ্ছে প্রিয়নবী কোন কিছু হালাল কিংবা হারাম করতে পারেন না। অথচ পবিত্র কুরআন ও হাদীসে অসংখ্য দলীল রয়েছে শরীয়তের বিধানাবলীতে পরিবর্তণ, পরিবর্ধণ এবং কোন কিছুকে হালাল কিংবা হারাম করার ক্ষমতাও মহান আল্লাহ পাক তাঁর হাবীবকে দান করেছেন। যেমন- 
قالتلوا الْذِيْنَ لَايُؤْمِنُوْنَ بِا للهِ وَلَا بِاليَوْمِ الْآخِرِ وَ لَا يُحَرِّمُونَ مَا حرم اللهُ وَ رَسُوْلُه 
যুদ্ধ কর তাদের সাথে যারা ঈমান আনে না আল্লাহ উপর কিয়ামত দিবসের উপর এবং হারাম মানে না ওই বস্তুকে, যাকে হারাম করেছেন আল্লাহ ও তাঁর রাসূল।” (সূরা আ্ত তাওবা, আয়াত: ২৯। ) 

এ আয়াত দ্বারা স্পষ্ট বুঝা যায় আল্লাহ পাকের পরে তাঁর প্রিয় হাবীবও কোন কিছুকে হালাল কিংবা হারাম করতে পারেন এটাকে খোদাপ্রদত্ত ক্ষমতা বলা হয়। হাদীসে পাকে অসংখ্য প্রমাণ বিদ্যমান রয়েছে যে, প্রিয় নবী অনেক কিছুকে হালাল অথবা হারাম ঘোষণা করেছেন যেমন পবিত্র মক্কা শরীফের ন্যায় মদীনা শরীফকেও প্রিয় নবী নিজে হারাম বা পবিত্র ঘোষণা করেছেন। প্রখ্যাত সাহাবী হযরত সাদ ইবনে আবী ওয়াক্কাস রাদিয়াল্লাহু তাআলা আনহু বর্ণনা করনে- 
اِنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّ اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَرَّمَ هَذَا الحرام 
নিশ্চয় রাসূল সাল্লাল্লাহু তাআলা আলাইহি ওয়া সাল্লাম এই হারাম শরীফ (মদীনাকে) হারামরূপে গণ্য করেছেন। 
অন্য হাদীস শরীফে রয়েছে- 
اِنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّ اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَرَّمَ مَا بَيْنَ لَابتى الْمَدِيْنَةِ 
প্রখ্যাত সাহাবী হযরত রাফে বিন খদীজ রাদিয়াল্লাহু তাআলা আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বর্ণনা করেছেন, নিশ্চয় প্রিয় রাসূল সাল্লাল্লাহু তাআলা আলাইহি ওয়া সাল্লাম সমগ্র মদীনা মুনাওয়ারাকে পবিত্র হারামরূপে গণ্য করেছেন। (সহীহ মুসলিম শরীফ ও তাহাভী শরীফ। ) 

অতএব প্রমাণিত হলো, কোন কিছুকে হালাল, হারাম করার ক্ষমতা প্রিয় নবীর রয়েছে, এটা তাঁর খোদাপ্রদত্ত অন্যতম বৈশিষ্ট্য। দলীলসমূহ: কুরআন শরীফ, বোখারী শরীফ, মুসলিম শরীফ, তাহাভী শরীফ।

মওদূদীর আকীদা
আজমীর শরীফে যেয়ারতের উদ্দেশ্যে গমন করা জেনার গুনাহের চেয়েও মারাত্নক! 
جولوگ حاجتيى طلب كرنےكيليے ا جميرياسالايے مسعود كى قبرياايسے ہی دوسرے مقامات پر جاتے ہي وہ اتنا بڑاگناہ کر تے ہي کہ قتل اور زناکاگناہ اس سےکمترہے
যারা মনষ্কামনা পূর্ণ করার জন্য আজমীর অথবা সালায়ে মসউদের কবরে বা এই ধরনের অন্যান্য স্থানে যায়, তারা এত বড় গুনাহ করে যে, হত্যা ও জিনার গুনাহ তার তুলনায় কিছুই নয়।” (তাজদীদ ও ইহইয়ায়ে দীন (ইসলামী রেনেঁসা আনোদালন,) আবুল আলা মওদূদী পৃষ্ঠা: ৭২ । অনুবাদ: আবদুল মান্নান তালিব। আধুনিক প্রকাশনী, ঢাকা। )

ইসলামী আকীদা
নবী-অলী তথা আল্লাহর নেক বান্দাদের রওয়াপাকে বা মাজারে তাদেরই অসীলায় মনষ্কামনা পূরণে গমন করা সম্পূর্ণ শরীয়তসম্মত। কেননা পবিত্র কুরআনে এরশাদ হয়েছে- 
وَلَوْ أَنَّهُمْ اِذْ ظَلَمُوْا أَنْفُسَهُمْ جآءُوْكَ فَاسْتَغْفِرُوا اللهَ وَالسْتَغْفر لَهُمُ الرَّسُوْلُ لَوَجَدُوا اللهَ تَوَّابًا رَحِيْمًا 
যদি কখনও তারা নিজেদের আত্নার প্রতি জুলুম করে হে মাহবুব আপনার দরবারে হাজির হয়। অতঃপর আল্লাহর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করে। আর রাসুল সাল্লাল্লাহু তাআলা আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাদের পক্ষে সুপারিশ করেন, তবে অবশ্যই তারা আল্লাহকে তাওবা কবুলকারী ও দয়ালু পাবে।”(সূরা আন নিসা, আয়াত ৬৪ । ) 

হযরত মরিয়ম আলাইহাস সালামের হুজরায় হযরত যাকারিয়া আলাইহিস সালাম আপন রবের নিকট পুত্র সন্তান লাভের আশায় এভাবে দোয়া করেছিলেন- 
هُنَالِكَ دَعَا زَكريا رَبَّه قَالَ رَبِّ هَبْ لِىْ مِنْ لَّدُنْكَ ذُرِيَّةً طَيِّبَةً اِنَّكَ سَمِيْعُ الدُّعاءِ
এখানে প্রার্থনা করলেন হযরত যাকারিয়া আলাইহিস সালাম আপন রবের নিকট, হে আমার রব! আমাকে তোমার নিকট থেকে প্রদান কর পবিত্র সন্তান। নিশ্চয় তুমিই প্রার্থনা শ্রবণকারী।” ( সূরা আলে ইমরান, আয়াত ৩৮।) 

এ ছাড়াও অন্য আয়াতে রয়েছে 
وَالْتَغُوَا اليه الْوَسيْلَةْ 
তোমরা তাঁরই দিকে অসীলা (মাধ্যম) তালাশ করো।”(সূরা আল মায়িদা, আয়াত ৩৫ । ) 

বর্ণিত আয়াতসমূহ মহান আল্লাহর নেক বান্দাদের নিকট মনষ্কামনা পূরণের উদ্দেশ্যে যাওয়া এবং তাঁদের অসীলায় প্রার্থনা কবুল হওয়ার উৎকৃষ্ট প্রমাণ । অন্যান্য বর্ণনা দ্বারাও হাজত বা মনষ্কামনা পূরণার্থে বিভিন্ন মাজারে বা আল্লাহ মাহবুব বান্দাদের দরবারে যাওয়ার বাস্তব প্রমাণ কিতাবে রয়েছে।
যেমন ইমাম শাফেয়ী রাহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেন-
اِنِّى لَأتَبَرَّك بِأَبِى حَنِيْفَةَ وَ أَجِىُ اِلَى قَبره فَاِذَا عَرَضَتْ حَاجَة صَلَّيْتُ رَكْعَتَيْنِ وَسَئَلْتُ اللهَ تَعَالى عِنْدَ قَبره فَتُقْضى سَرِيْعً 
আমি ইমাম আবু হানিফা রাহমাতুল্লাহি আলাইহির দরবারে আসি এবং বরকত হাসিল করি। আমার যখন কোন হাজত হয়, তখন ইমাম আবু হানিফার মাজারে দুরাকাত নামায পড়ে আল্লাহর দরবারে দোয়া করি। ফলে দ্রুত আমার হাজত পূর্ণ হয়ে যায়।”(রদ্দুল মুহতার, ১ম খন্ড, ইমাম ইবনে আবেদীন শামী রাহ। ) 

সুতরাং অসংখ্য দলীলাদির মাধমে প্রমানিত হলো মনষ্কামনা পূর্ণ করার জন্য আল্লাহর নেক বান্দাদের রওযাতে যাওয়া শুধু জায়েয নয়, বরং প্রখ্যাত ইমামদের অনুসৃত নীতিও বটে। 

অতএব, আজমীর শরীফ, সালায়ে মাসউদের দরবারে মনষ্কামনা পূরণার্থে যাওয়া বৈধ এবং এটাকে মওদূদী কর্তৃক জেনা ও হত্যার গুনাহর চাইতে মারাত্নক গুনাহ বলা ইসলামের উপর বড় জুলুম ছাড়া আর কিছুই নয়।
আরো দলিলের জন্য দেখুন ঃ-  
কুরআন শরীফ, হাদীস শরীফ, রদ্দুল মুহতার, ফতোয়ায়ে আজীজিয়া, বুযুর্গ কে আকীদা।

মওদূদীর আকীদা
সাহাবায়ে কেরাম সত্যের মাপকাঠি নন! 
معيار حق توصرف الله كا كلام اور اسكے رسول كى سنت ہے صحا بہ معيار حق نہي 
সত্যের মানদন্ড শুধুমাত্র আল্লাহর কালাম এবং তাঁর রাসুল সাল্লাল্লাহু তাআলা আলাইহি ওয়া সাল্লামের সুন্নাত। সাহাবা রাদিয়াল্লাহু তাআলা অনহুম সত্যের মানদন্ড নন। (তরজুমানুল কুরআন, অগষ্ট সংখ্যা, ১৯৭৬। )

ইসলামী আকীদা
কুরআন সুন্নাহর আলোকে সাহাবায়ে কেরাম معيارحق বা সত্যের মানদন্ড। কেননা তাঁদের মাধ্যমেই আমরা নিখুকভাবে মহান আল্লাহর একমাত্র দ্বীন ইসলাম পেয়ে ধন্য হয়েছি। পবিত্র কুরআনে সাহাবায়ে কেরামের প্রশংসায় মহান আল্লাহ তাআলা এরশাদ করেছেন:
رَضِىَ اللهُ عَنْهُمْ وَ رَضُوْا عَنْه 
আল্লাহ তাঁদের (সাহাবাদের) উপর সন্তুষ্ট এবং তাঁরা তাঁর (আল্লাহর) উপর সন্তুষ্ট।”(সূরা আল বাইয়্যিনাত, আয়াত : ৮। ) 

আরো অসংখ্য আয়াতে সাহাবায়ে কেরামের প্রশংসা করা হয়েছে। অপর আয়াতে এরশাদ হয়েছে:
كُنْتُمْ خَيْرَ أُمَّة أُخرجَتْ لِلنَّاسِ تَأْمُرُوْنَ بِالْمَعْرُوْفِ وَ تَنْهَوْنَ عَنِ الْمُنكر 
জনসাধারণের কল্যাণের জন্য শ্রেষ্ঠতম উম্মত হিসাবেই তোমাদের আত্নপ্রকাশ। তোমরা সৎকাজের আদেশ দান করবে এবং অন্যায় কাজে বাধা দেবে। ( সূরা আলে ইমরান, আয়াত: ১২০। ) 

এ আয়াতে أُخِرْجَتْ لِلنَّاسِ বলে সাহাবায়ে কেরামের অনুসরণকে واجب এবং তাঁদের পরিচালিত পথকে মানুষের জন্য দলীল হিসাবে নির্ধারণ করা হয়েছে। 

হাদীসে পাকেও এরশাদ হয়েছে: 
أَصْحَابِى كَالنُّجُومِ فَبِأَيهمْ اِقْتِدَيْتُمْ اِهْتِدَيْتُمْ 
আমার সাহাবীগণ তারকারাজির ন্যায় । তোমরা যে কারো অনুসরণ করো না কেন সঠিক পথের দিশা পাবে।”(মিশকাত শরীফ, পৃষ্ঠা : ৫৫৪ ।

عَلَيْكُمْ بِسُنَّتِى وَسُنَّةِ الْخُلَفَآءِ الرَّاشِدِيْنَ الْمَهْدِيْينَ 
তোমরা আমার ও আমার খুলাফায়ে রাশেদীনের সুন্নাতকে আকড়ে ধর ।”( আবু দাঊদ, কিতাবুস সুন্নাহ। পৃষ্টা: ৬৩০ । ) 

অন্য হাদীসে مَا أَنَا عَلَيْهِ وَ أَصْحَابِى বলে প্রিয় নবী বলেন, যারা আমি ও আমার সাহাবাদের পথে সুপ্রতিষ্ঠিত ও অবিচল রয়েছে, তাঁরাই জান্নাতী বা মুক্তিপ্রাপ্ত দল।
মিরকাত শরহে মিশকাতে আল্লামা মোল্লা আলী কারী রাহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেন:
فَلَا شَكَّ وَ لَارَيْبَ أَنَّهُمْ أَهْلُ السُّنَّةِ وَ الْجَمَاعَة 
নিঃসন্দেহে উপরোক্ত হাদীসের উল্লেখিত মুক্তিপ্রাপ্ত বেহেশতী দলই হলো আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াত। 

বর্ণিত কুরআন-সুন্নাহর আলোকে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াতের আকীদা ইচ্ছে সাহাবায়ে কেরাম معيار حق বা সত্যের মানদন্ড। তাঁদের ব্যাপারে যে কোন প্রকার সমালোচনা, মানহানিমূলক মন্তব্য ও দোষ বর্ণনা করা প্রিয় নবীর হাদীস মোতাবেক নিষিদ্ধ।
যেমন হাদীসে পাকে এরশাদ হয়েছে: 
عَنْ اِبْنِ عُمَرَ رَضِىَ اللهُ عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُلُ اللهِ صَلّى اللهِ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اِذَا رَأيتمْ الَّذِيْنَ يَسُبونَ أَصْحَابِى فَقُولُوا لَعْنَةُ اللهِ عَلى شَرِّكُمْ 
হযরত ইবনে ওমর রাদিয়াল্লাহু তাআলা আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন প্রিয় নবী এরশাদ করেছেন, তোমরা যদি দেখ যে, কেউ আমার সাহাবীকে গালি দিচ্ছে বা মন্দ বলছে, তখন তোমরা বলো তোমাদের অন্যায়ের উপর আল্লাহর অভিশম্পাত।”( তিরমিযী মিশকাত শরীফ, পৃষ্ঠা ৫৫৪। ) 

এ ছাড়াও অসংখ্য দলীলের মাধ্যমে সাহাবায়ে কেরাম সত্যের মাপকাটি প্রমাণিত। পক্ষান্তরে সাহাবায়ে কেরামের শানে বেয়াদবী, সমালোচনা ও মানহানি নিষিদ্ধ। 
দলীলসমূহ: কুরআন শরীফ, হাদীস শরীফ, শরহুল আকাঈদ, কানযুল ঈমান, রুহুল ইরফান।

মওদূদীর আকীদা
আলেমদের জন্য তকলীদ নাজায়েয! 
ميرے نزديك صاحب علم آدمى كيليے تقليدناجائز اور گناه بلكہ اس سے بهى شديد تر چيز ہے
আমার মতে দ্বীনী ইলমের ক্ষেত্রে বুৎপত্তি রাখেন এমন ব্যক্তির জন্য তাকলীদ (মাজহাব অনুসরণ) না জায়েয এবং গুনাহ। বরঞ্চ তার চাইতেও সাংঘাতিক।” (রাসায়েল ও মাসায়েল। আবুল আলা মওদূদী । পৃষ্ঠা: ১৪৮। অনুবাদ: আবদুস শহীদ নাসীম। শতাব্দী প্রকাশনী, ঢাকা। )

ইসলামী আকীদা
চার মাজহাবের যে কোন একটি অনুসরণ করা প্রত্যেক মুসলমান নর-নারীর জন্য ওয়াজিব। এটা ইজমায়ে ওলামা দ্বারা সর্ব সম্মতিক্রমে স্থিরকৃত। এর ব্যাপারে পরবর্তীকালের কোন ব্যক্তির মনগড়া বানোয়াট ফতোয়া গ্রহণযোগ্য নয়। কারণ উম্মতের অন্তর্ভূক্ত সমস্ত মুহাদ্দিসীন, মুফাসসিরীন, ওলামা, পীর মাশায়েখ, অলীয়ে কামেলীন, বুযুর্গানে দ্বীনও মাজহাবের অনুসরণ করেছেন। যেমন- গাউসে পাক হযরত আবদুল কাদের জিলানী রাহমাতুল্লাহি তাআলা আলাইহি হাম্বলী মাজহাবের অনুসারী ছিলেন। 

হযরত খাজা গরীবে নেওয়াজ, মুজাদ্দেদে আলফে সানী, শাহ ওয়ালী উল্লাহ, ইমাম বোখারী, ইমাম মুসলিম ও ইমাম গাজ্জালী রাহমাতুল্লাহি আলাইহিম থেকে শুরু করে ইমাম, দার্শনিক, ইসলামী চিন্তাবীদগণ মাজহাবের অনুসরণ করেছেন। মওদূদী নিজেকে উপরোল্লিখিত মহাজ্ঞানীদের চাইতেও বড় জ্ঞানী মনে করে তাদেরকে পাপী হিসাবে চিহ্নিত করতে অপচেষ্টা চালিয়েছেন।
অথচ পবিত্র কুরআন সুন্নাহর অসংখ্য দলীলের মাধ্যমে تقليد তথা মাজহাব মেনে চলা আবশ্যক । যেমন 
وَاتَّبِعْ سَبِيْلَ مَنْ أَنَابَ اِلَّى 
আর তারই পথে চলো যে আমার প্রতি প্রত্যাবর্তন করেছে।”(সূরা লোকমান। আয়াত : ১৫। ) 

এ আয়াতে আল্লাহর দিকে ধাবিত ব্যক্তিবর্গের তাকলীদ বা অনুসরণ করাকে আবশ্যক করা হয়েছে।
أَطِيْعُوا االلهَ وَأَطِيْعُوا الرَّسُوْلَ وَ أُوْلِى الْأَمْرِ مِنْكُمْ
আল্লাহর আনুগত্য কর, তাঁর রাসুলের আনুগত্য কর এবং তোমাদের মধ্যে যারা আদেশ প্রদানকারী রয়েছে তাদেরও।”(সূরা আন নিসা। আয়াত ৫৯। ) 

এর আয়াতে أولى الأمر বলতে মুহাক্কিকদের মতে ফিকাহবিদ, মুজতাহিদ ও আলেমগণ। যেহেতু তারাই তো ইসলামী শাসনকর্তাদের প্রধান Adviser হিসাবে ইসলামী রাষ্ট্র পরিচালনায় সাহায্য করে থাকেন। অতএব, أولى الأمر বলতে ইসলামী শাসক ও মুজতাহিদ আলিমগণকেই বুঝানো হয়েছে। তাই কুরআন দ্বারা তাদের তাকলীদ প্রমাণিত হলো। 

পবিত্র হাদীস শরীফেও তাকলীদ সম্পর্কে এরশাদ হয়েছে:
عَنْ تَمِيْمِ الدارىْ رَضِى اللهُ تَعَالَى عَنْهُ قَالَ: اِنَّ النَّبِىَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ اَلدِّيْنُ النَّصِيْحَةُ قُلْنَا لِمنْ؟ قَلَ لِلهِ وَلِكِتَابِه وَلِرَسُولِه وَ لِأُمَّةِ الْمُسْلِمِيْنَ وَعَامَّتِهِمْ 
হযরত তামীমদারী রাদিয়াল্লাহু তাআলা আনহু হতে বর্ণিত, প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু তাআলা আলাইহি ওয়া সাল্লাম এরশাদ করেছেন, ধর্ম হলো কল্যাণ কামনা। আমরা (উপস্থিত সাহাবীগণ) আরজ করলাম, কার কল্যাণ কামনা? তিনি ফরমালেন, আল্লাহর, তাঁর কিতাবের, তাঁর রাসুলের, মুসলমানদের মুজতাহিদ ইমামগণের এবং সাধারণ মুসলমানদের।” (-মুসলিম শরীফ। জাআল হক, পৃষ্ঠা: ৩৫ । ) 

উল্লিখিত হাদীসের মুজতাহিদ ইমামগণের কল্যাণ কামনা মানে তাদের তাকলীদ সম্পর্কে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে।
মুসলিম শরীফের ব্যাখ্যাগ্রন্থ নববীতেও বর্ণিত হাদীসের ব্যাখ্যায় তাকলীদ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। এ ছাড়াও যুগশ্রেষ্ঠ মুহাদ্দিসীন কেরাম মুফাসসিরীনে ইজাম তাঁদের স্ব স্ব গ্রন্থে তাকলীদ বা মাজহাব মানা যে ওয়াজিব তা দৃঢ়ভাবে ব্যক্ত করেছেন এবং নিজেরাও বিভিন্ন মাজহাবের ইমামদের অনুসরণ করে উম্মতে মুহাম্মদীকে শিক্ষা দিয়েছেন।
দলীলসমূহ : কুরআন শরীফ, হাদীস শরীফ, রুহুল বয়ান, খাযিন, দররে মানসূর , মিশকাত, রাবী, ফতহুল কদীর, জাআল হক।
ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা মওদূদীর স্বপ্ন, কেন পূর্ণতা পেল না ?
মওদূদীর রচনাবলী অধ্যয়ন করলে যে কোন মুসলমানের হৃদয়ে ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার চেতনা সৃষ্টি হয়। মওদূদীও আজীবন যে স্বপ্ন দেখে এসেছিল তা কেউ অস্বীকার করবে না। মওদূদী একটি ইসলামী রাষ্ট্রে প্রতিষ্ঠা করে হুকুমতে এলাহিয়ার যে ভিত্তি রচনা করতে চেয়েছিল তা কেন পূর্ণতা পেল না তা একেবারে সূর্যের চাইতেও স্পষ্ট। কারণ, হুকুমতে এলাহিয়ার মূল মডেল হচ্ছেন প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু তাআলা আলাইহি ওয়া সাল্লাম, খোলাফায়ে রাশেদীন ও সাহাবায়ে কেরাম রিদ্বওয়ানুল্লাহি তাআলা আলাইহিম, আজমাঈন। অথচ মওদূদী সেই প্রিয় নবীর পবিত্র মর্যাদ Position কে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য ও সাহাবায়ে কেরামের সমালোচনাকে বৈধ মনে করে প্রকৃত ইসলাম থেকে অনেক দূরে চলে গিয়েছিল। 

যার ফলে মুসলিম মিল্লাত তাকে গোমরাহ ও তার দলকে গোমরাহ দল হিসাবে আখ্যায়িত করে নিরাপদ দূরত্বে অবস্থান করছে। সে যদি রসুলপ্রেমকে ধারণ করে খোলাফায়ে রাশেদীনের মডেলকে সামনে রেখে ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার মিশন নিয়ে সম্মুখে অগ্রসর হত, তাহলে বিশ্বের অনেক দেশে আজ ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হত। বর্তমানেও যারা এ আন্দোলনে সম্পৃক্ত তাদেরকেও কথাটি চিন্তা করে বিশুদ্ধ আকীদা ধারণ করে সামনে অগ্রসর হতে হবে, অন্যথায় ব্যর্থতা ছাড়া আর কিছুই পাওয়া যাবে না। কেননা, প্রিয় নবীর দ্বীনকে রাষ্ট্রীয় ভাবে প্রতিষ্ঠা করার পূর্বে প্রিয় নবীর প্রতি সর্বোচ্চ শ্রদ্ধাবোধ ও শানে রেসালতের প্রতি পরিপূর্ণ আস্থা থাকা আবশ্যক।
বিশ্বব্যাপী মওদূদীর বিরুদ্ধে লিখিত অসংখ্য গ্রন্থাবলীর মাত্র কয়েকটির নাম প্রদত্ত হল:- 
বাংলাদেশ থেকে প্রকাশিত (মাত্র কয়েকটি)
* প্রকৃত ইসলাম রদ্দে মওদূদী- মুফতী আল্লামা ইদ্রিস রযভী 
*
এক নজরে মওদূদী- জামাত-শিবিরের ভ্রান্ত মতবাদ মাওলানা জাকির হোছাইন। 
*
জামাতে ইসলামী- নামধারী মওদূদী জামাতের স্বরূপ মওলানা আজিজুর রহমান (শর্শিনা) 
*
সতর্ক বাণী- মও. মোহাম্মদুল্লাহ হাফেজ্জী হুজুর 
*
জেহাদের আহ্বান ও মওদূদী মতবাদের বাস্তব চিত্র -চরমোনাইর পীর। 
*
মি: মওদূদীর নতুন ইসলাম মুফ. মও. মনসুরুল হক। 
*
মওদূদীর কলমে নবী-রাসুলগণের অবমাননা- মও. আবদুল্লাহ বিন সাঈদ জালালাবাদী 
*
ভূল সংশোধন- মও. শামসুল হক ফরিদপুরী 
*
জামাতে ইসলামী কোন পথে- মুফ. মুফাজ্জল আলী ।
ভারত থেকে প্রকাশিত (মাত্র কয়েকটি ):
* ইসলাম কি চার বুনিয়াদী ইস্তেলাহী- হাকীমুল উম্মত মুফতী আহমদ এয়ার খান নঈমী রহ. 
*
জামাত ইসলামী কা শীষ মহল- মাওলানা মোস্তাক আহমদ নিজামী 
*
ইসলামী ইউনিফরম- মও. হোছাইন আহমদ মদনী 
*
জামাতে ইসলামী সে মুখালিফত কিউঁ- মও. হাবীবুর রহমান 
*
আয়েনায়ে তাহরীকে মওদূদিয়ত- মও. মুফতী মাহদী হাসান 
*
দারুল উলুম কা এক ফতোয়ায়ে হাকীকত ও. কারী তৈয়ব 
*
তাহরীকে জামাতে ইসলামী- মও. দাউদ রায় 
*
মওদূদী কা উল্টা মাযহাব- মুফতী মাহবুব আলী খান 
*
দেওবন্দ কা এক না দান দোস্ত ও. নাজমুদ্দীন 
*
নয়া মাযহাব- মও. দাউদ রায় 
*
ফেতনায়ে মওদূদী- মও. জাকারিয়া 
*
তফসীর বির রায় কা শরয়ী হুকুম মুফতী সৈয়দ আবদুর রহীম 
*
তদবীর কা দোসরা রুখ- মও. আবদুল কুদ্দুস
মওদূদীর দেশ পাকিস্তান থেকে প্রকাশিত (মাত্র কয়েকটি):
* মোকালামায়ে কাজেমী ও মওদূদী গাজ্জালীয়ে জামান আহমদ সাঈদ কাজেমী 
*
হযরত মুআবিয়া আওর তারীখি হাকায়িক তকী ওসমানী 
*
মওদূদী জামাত পর তনকীদি নজর- মও. মাজহার হোসাইন 
*
সেরাতে মুস্তাকীম ও. আবদুস সালাম 
*
মওদূদী কি তাহরীকে ইসলামী- প্রফেসর মোহাম্মদ সরওয়ার 
*
জামাতে ইসলামী কা রুখে কির্দার- চৌধুরী হাবীব আহমদ 
*
রদ্দে মওদূদীয়ত- মও. আবদুর রশীদ ইরাকী 
*
এক্স-রে রিপোর্ট- মুফতী আবদুল কুদ্দুস রূমী 
*
আ লাইসা মিনকুম বজলুর রশীদ 
*
মওদূদীয়ত কা পোস্ট মর্টেম- মও. খলীলুর রহমান পানিপথী 
*
হাকায়িকে মওদূদীয়ত ও. ছানাউল্লাহ (অমৃতস্বরী) 
*
তাকীদুল মাসাইল- হাফেজ মোহাম্মদ গন্দুলভী 
*
মওদূদী সাহেব আকাবেরে উম্মত কে নজর মেঁ- হাকীম মও. আখতার (খলীফায়ে থানভী) 
*
ফেতনোঁ কি রুখে তাম হাফেজ মোহাম্মদ ছায়েদ 
*
মওদূদী আওর এক হাজার ওলামায়ে উম্মত- মও. মনজুর আহমদ 
*
মওদূদী হাকায়িক- মাওলানা আবু দাউদ মোহাম্মদ সাদিক রজভী।
ইসলামের পূর্ণতা দিয়ে গেছেন মহানবী (সা), ইসলাম রক্ষা করার দায়িত্ব মহান আল্লাহ পাকের। 

-
ভণ্ড মোনাফেক, ইসলামের শত্রু, রাজাকার জামাত শিবির এর নয়। এদের হাত থেকে দেশকে, ইসলামকে রক্ষা করুন
১ম পর্বের লিঙ্ক ঃ-

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

হেফাজতের সঙ্গে চরমোনাই পীরসাহেবের একাত্বতা নিয়ে যারা প্রশ্ন তুলেন ; তারা আগে ভিডিও ২টি দ্যাখেন ; তারপর মন্তব্য করেন !!!

হেফাজতের সঙ্গে চরমোনাই পীরসাহেবের একাত্বতা নিয়ে যারা প্রশ্ন তুলেন ; তারা আগে ভিডিও ২টি দ্যাখেন ; তারপর মন্তব্য করেন !!!

ইস্তেহসান কাকে বলে? ইস্তেহসান কি শরিয়তের দলীল??

ইস্তেহসান কাকে বলে? ইস্তেহসান কি শরিয়তের দলীল?? : div class=