সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

নারীর সৌন্দর্য নারীত্বে




আমাদের সমাজে একটি প্রবাদ  আছে, ছায়ার সাথে যুদ্ধ করা যায় না। নিজের ছায়ার বিরুদ্ধে লড়াই করে বিজয়ী হওয়া যায় না। আপনি আপনার ছায়ার বিরুদ্ধে লড়াই করবেন? করুন! আপনার ছায়া দাওয়াতও  দেবে না আবার বাধাও দেবে না। কিন্তু  আপনি যখন লড়াইয়ে অবতীর্ণ হবেন তখন হাত-পা গুড়ো করে রক্তমাখা বদনে- ব্যর্থ হয়ে ফিরে আসতে হবে আপনাকেই। ছায় যা ছিল তাই থাকবে। তার অশরীরি  গায়ে  কোন দাগও লাগবে না। এই যদি হয় বাস্তব সত্য, তাহলে কোন ব্যক্তি যদি তার অস্তিত্বের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে চায় তার দশা কী হবে? নিজের অস্তিত্বের বিরুদ্ধে লড়াই করলে পরিনামে নিজেকেই আহত-বিক্ষত হতে হবে, হতে হবে নি:শেষ – আর এটাইতো স্বাভাবিক।কারণ, যিনি সৃষ্টি করেছেন, শূন্য থেকে অস্তিত্ব দিয়েছেন, জীবন যাপনের যাবতীয় উপকরণ- এমনকি মানব গোষ্ঠীর সকল মেধা-বুদ্ধিও যাঁর দান, করূণার ফসল তাঁর আদেশের বিরোধিতা করার চেয়ে বড় বোকামী নির্বুদ্ধিতা নেমক হারামী আর কী হতে পারে?
এটা ঠিক, তিনি সকল কিছু সৃষ্টি করেছেন এবং যাকে যে জন্য সৃষ্টি করেছেন তাকে তার উপযুক্ত করেই সৃষ্টি করেছেন। সে সুবাদেই বলতে হয়, নর আর নারী দু’জনের সৃষ্টি একই লক্ষে হয়নি। বাই দু’জনের কর্ম ও কর্তব্য এক নয়। অনুরূপভাবে পুরুষকে  যে কাজের জন্যে সৃষ্টি  করেছেন তিনি- শারীরিক, মানসিক, মন ও মেধা সর্বদিক থেকেই সেই কর্তব্য আদায়ে সক্ষম ও উপযুক্ত করেই সৃষ্টি করেছেন তিনি। আর নারীকে সৃষ্টি করেছেন যে লক্ষ্যে- সে লক্ষ্যে উত্তীর্ণ হবার মত সার্বিক যোগ্যতা ও ক্ষমতা দিয়েই সৃষ্টি করেছেন তাকে। কাজেই নারীর কাজ যেমন পুরুষের কাজ নয় তেমনি পুরুষের করতব্যও নারীর কর্তব্য নয়। একইভাবে নারীর ভেতরে যেমন পুরুষের কর্তব্য সম্পাদনের যোগ্যতা ও ক্ষমতা অনুপস্হিত, পুরুষের পক্ষেও নারীর দায়িত্ব আদায় করা অসম্ভব। এটা শুধু ধর্ম ও বিশ্বাসের কথাও নয়। আধুনিক কালের পন্ডিত গবেষকগণ গভীর অনুসন্ধান চালিয়ে নর ও নারীর  শারীরিক মানসিক সার্বিক শক্তি ও গুনাবলীর তুলনামূলক বিশ্লেষণ পূর্বক এই সিদ্ধানেতই উপনীত হয়েছেন- নারী প্রকৃতিগতভাবেই পুরুষের চাইতে দুর্বল। তাই কোন নারীর পক্ষেই সমমানের কোন পুরুষের কর্তব্য পুরুষের মত করে সম্পাদন করা সম্ভব নয়।

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

‘হুদ হুদ’ প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত

ঘূর্ণিঝড় ‘ হুদ হুদ ’ উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘণীভূত হয়ে অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে। এটি অবস্থান করছে পশ্চিম মধ্যবঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন পূর্ব মধ্যবঙ্গোপসাগর এলাকায়। ·          অগ্রসর হচ্ছে ‘ হুদ হুদ ’, সাগরে সতর্কতা সংকেত ·            ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে সাগর উত্তাল থাকায় চট্টগ্রাম , কক্সবাজার , মংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে তিন নম্বর স্থানীয় সর্তকতা সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। আবহাওয়া অধিদপ্তর শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টার বুলেটিনে এ তথ্য দেওয়া হয়। এতে বলা হয় , ঘূর্ণিঝড়টি সন্ধ্যা ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৯৭৫ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে , কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৯১০ কিমি দক্ষিণপশ্চিমে , মংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৮৮০ কিমি দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্র বন্দর থেকে ৮৭০ কিমি দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছে। এটি আরও ঘণীভূত হয়ে পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে। এ সময় ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৭৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১২০ কিমি থেকে ...

রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বাতিলের সম্ভাব্য পরিণতি!!!

সংবিধান থেকে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম তুলে দিলে আমরা যে সকল সমস্যার সম্মুখীন হতে পারি ➖➖➖➖➖➖➖➖➖➖ শুধুমাত্র লাইক, কমেন্ট, শেয়ার, কপিই নয়! সম্ভব হলে লিফলেট ছেপে লেখাটি ছড়িয়ে দিন!! : রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বাতিলে সমস্যা কোথায়? প্রশ্নবানে জর্জরিত হচ্ছি, সমস্যা কোথায়? প্রশ্ন আসছে সব শ্রেণী থেকে। প্রথম কথা হচ্ছে, কেউ আমার হাত কাটলেও ব্যথা পাই, আঙুল কাটলেও। কারণ হাত-পা সবই আমার! ইসলামী বিধান প্রতিষ্ঠিত নাই বলে সংবিধান থেকেও মুছে দিতে হবে? হাত কাটা রুখতে পারি নি বলে পা কাটারও সুযোগ দেবো? কারো শরীরে অনুভূতি না থাকলে সেটা তার ব্যাপার, আমি কালিমা পড়েছি, দ্বীনের যে কোন বিষয়ে আঘাত আসলে আমার কলিজায় লাগে! এবার আসল কথায় ফিরে যাই; ক. ইসলামী শরী’আহ হচ্ছে কোন বিধান পালন না করলে আপনি গুনাহগার, বেঈমান নন, কিন্তু অস্বীকার করলে বেঈমান। সংবিধান থেকে সরিয়ে দেওয়ার অর্থ হচ্ছে আপনি অস্বীকার করছেন! খ. বুদ্ধিমানদের কাজ হচ্ছে ইতিহাস থেকে শিক্ষা নেওয়া, আপনি কামাল আতার্তুকের তুরস্কের ইতিহাস পড়ুন, বুঝবেন কেন আমাদের এতো মাথাব্যথা! গ. প্রধানমন্ত্রী তনয় ও আইটি উপদেষ্টা জয় সাহেবের সে বক্তব্...

একটি অন্যায় কাজ

  ‘ বিসমিল্লাহ ‘ ও ‘ দরূদ ’ অশুদ্ধ বা অসম্পূর্ণ বলা ও লেখা প্রত্যেক গুরুত্বপূর্ণ কাজের শুরুতে ‘ আল্লাহর যিকর ’ মাসনূন। যে কাজের সূচনায় শরীয়ত যে যিকর নির্দেশ করেছে সে কাজের জন্য ঐ যিকরই মাসনূন। অনেক কাজে ‘ বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম ’ বলা বা লেখার নির্দেশনা রয়েছে। শরীয়তে তা মাসনূন। বিধানগত বিচারে এটা মাসনূন বা মুস্তাহাব হলেও এর তাৎপর্য অত্যন- গভীর। সংক্ষেপে বলা যায় যে , এর দ্বারা বান্দা নতুন করে এর অঙ্গিকার। আল্লাহ তাআলার নেয়াতমসমূস স্মরণ করে এবং আল্লাহর দিকে রুজূ করে কাজের মধ্যে দুরুস্তি   ও খায়র ও বরকতের দরখাস্ত   করে। এজন্য এই আমল গুরুত্বের সঙ্গে করা চাই। আর যেহেতু এতে মাহবূবে হাকীকী আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের পবিত্র নাম রয়েছে তাই গভীর শ্রদ্ধা ও মহাব্বতের সঙ্গে তা আদায় করা চাই। পূর্ণ বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম তাজবীদ ও ইখলাসের সঙ্গে পাঠ করা চাই , শুধু রসম পুরা করার জন্য না হওয়া চাই। পরিতাপের বিষয় এই যে , আমাদের মধ্যে অনেককে অনেক সময় দেখা যায় , যারা বিসমিল্লাহ এমনভাবে পাঠ করে থাকেন , যেন তা একটি অতিরিক্ত কাজ। মূল কাজ হল যা শুরু করা হচ্ছে। বলাবাহুল্য ,...