সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

মিথ্যা ধরার ১০ টি উপায় ,১০০% কাজে লাগবেই।





আপনার সামনে দাঁড়িয়ে কেউ
মিথ্যা কথা বলছে কি না কি করে বুঝবেন? যদিও
এর কোনও সঠিক পদ্ধতি বের
করতে পারেননি বৈজ্ঞানিকরা। তবু
মনস্তত্ববিদরা বলেন, কিছু বডি ল্যাঙ্গুয়েজ
দেখে আপনি আন্দাজ করতে পারবেন, আপনার
প্রিয় বন্ধু বা গার্লফ্রেন্ড আপনাকে ঠকাচ্ছেন
কি না।

মিথ্যা ধরার ০৮ উপায় :-
১) সরাসরি না তাকানো: একজন মিথ্যাবাদী কখনও
আই কন্ট্যাক্টে কথা বলতে পারেন না। আপনার
সঙ্গে কথা বলার সময়েও তার চোখ আপনার
চোখের দিকে থাকবে না।

২) সরাসরি তাকানো: শুনতে অবাক লাগলেও একজন
মিথ্যাবাদী এ পন্থাই বেছে নেন।
আপনাকে ঠকাতে হলে শান্তভাবে একদৃষ্টিতে আপনার
চোখে চোখ রেখেই কথা বলবেন মিথ্যাবাদীরা।
ভয়ানক জালিয়াত না হলে এ অভ্যাস রপ্ত
করা কঠিন।

৩) অন্যমনস্কতা: কেউ কথা বলার সময় বারবার
চুল নিয়ে খেললে, নখ ছিঁড়লে, পায়ের পজিশন
বারবার পাল্টালে বুঝবেন তিনি আপনাকে সত্য
বলছেন না। এগুলো নার্ভাসনেসের লক্ষণ।

৪) স্ট্যাচু: মিথ্যা বলার সময় অনেকেই একদম কাঠ
হয়ে যান। শরীরের ওপরের অংশের নড়াচড়া বন্ধ
হয়ে যায়। কনফিডেন্ট না থাকার লক্ষণ এটি।
গলা পরিষ্কার: কথা বলার সময় অল্প
কেশে গলা পরিষ্কার করা,
অপ্রয়োজনে গলা খাঁকারি দেয়া মিথ্যুকদের
অভ্যাস।

৫) ঘেমে একসা: মিথ্যা বলার সময় অনেকেই
ঘামতে থাকেন। ধরা পরে যাওয়ার ভয় থেকেই
এটা হয়।

৬) আটকে আটকে কথা বলা: মিথ্যা বলতে গিয়ে অনেকেই
তথ্যে ভুল করে বসেন। তখন নিজের ভুল
ধরা পড়ে যাওয়ার ভয়ে থেমে,
আটকে আটকে কথা বলেন মিথ্যুকরা।
অকারণে টেনে কথা বলা: কোনও একটি বাক্য
শেষ করতে গিয়েও শেষ করতে পারছেন
না আপনার
উল্টোদিকে কথা বলতে থাকা ব্যক্তিটি।
তাহলে বুঝবেন তিনি মিথ্যা বলছেন।

৭) বাক্যের বিন্যাসে অসঙ্গতি:
যারা মিথ্যা কথা বলেন তাদের বাক্য বিন্যাস
দেখলেই আপনি বুঝতে পারবেন,
তিনি মিথ্যা বলছেন। অকারণে সাধু বাক্যের
প্রয়োগ, চলতি শব্দ এড়িয়ে যাওয়া, সাধারণ
শব্দের বদলে লেখ্য ভাষায় কথা বললে বুঝবেন
আপনার সঙ্গী আপনাকে ঠকাচ্ছেন।

8) চোখের পানি: এ ব্যাপারে ১০ গোল
দেবে মেয়েরা। মিথ্যা বলার সময় চোখের
পানি ফেলতে ওস্তাদ মেয়েরা। ছেলেরা ততটা পটু
নয় এ বিষয়ে। যারা শো অফ করতে ভালোবাসেন
তাদের কাছে এভাবে মিথ্যা বলাটা ডালভাত। তাই
সাধু সাবধান।


মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

ভন্ড পীরের গোমর ফাক-২য় পর্ব

মাজারে সিজদা করা বৈধ কি ??? জিজ্ঞাসা : এক. ফেরেস্তারা হযরত আদমকে যেভাবে সম্মানপূর্বক সিজদা করেছিল সেভাবে বর্তমান যামানায় ওলী-আউলিয়াদের মাজারে সিজদা করা বা মাথা ঝুকানো জায়েজ কি না? জায়েজ না হলে প্রমাণ কী? দুই. সুন্নত তরিকায় কবর জিয়ারতের পদ্ধতি কী? বিস্তারিত জানালে কৃতজ্ঞ থাকব। জবাব : এক. ইবাদতের উদ্দেশ্যে আল্লাহ ছাড়া কাউকে সেজদা করা বা মাথা নোয়ানো কোনো কালেই বৈ ধ ছিল না। তবে সম্মান জ্ঞাপনার্থে সেজদা করা মাথা নোয়ানো পূর্ববর্তী যুগে বৈধ ছিল। কিন্তু ইসলাম ধর্মে শিরকের গন্ধ পর্যন্ত মিটিয়ে খালেস তাওহিদ প্রতিষ্ঠার্থে সম্মান সূচক সেজদা ও মাথা নোয়ানোও হারাম করে দেয়া হয়েছে। তাই ইসলাম ধর্মে কোনো ব্যাখাতেই ওলী-আউলিয়াগণের মাজারে-দরবারে সেজদা করা বা মাথা ঝুকানোর অবকাশ নেই। ফেরেস্তাগণ কর্তৃক স্বয়ং আল্লাহ পাকের হুকুমে আদম আ. এর প্রতি সম্মান প্রকাশার্থে সেজদা করার বিষয়টি আসমানী জগতের সাথে সম্পৃক্ত। এটি উর্দ্ধ জগতের বৈশিষ্ট। তার সাথে দুনিয়ার জগতের বিধি বিধান তুলনীয় নয়। সুতরাং এ দ্বারাও বিভ্রান্ত হওয়া যাবে না। দুই. কবর জিয়ারতের ইচ্ছা হলে মুস্তাহাব হলো প্রথমে দুই ...

ভন্ড-বেদাতীর গোমরফাক ১ম পর্ব

রাসূল সা. হাজির নাজির কিনা ? প্রশ্ন: আস সালামু আলাইকুম , আশা করি ভাল আছেন , আমার প্রশ্ন , নবী করিম সা. হজির ও নাজির কি না ? যারা পক্ষে বলে তাদের দলিল হলো সূরা আহযাবের একটি আয়াতের শাহদান শব্দ। এই শব্দের ব্যখ্যা কি ? মেহেরবানী করে দলিল সহ উত্তর দিবেন।   উত্তর: হাজির ও নাজির শব্দদুটো আরবী। হাজির অর্থ বিদ্যমান বা উপস্থিত। আর নাজির অর্থ দ্রষ্টা। যখন এ শব্দ দুটিকে এক সাথে মিলিয়ে   ব্যবহার করা হয় তখন অর্থ হয় ঐ স্বত্তা যার অস্তিত্ব এক স্থানে সীমাবদ্ধ নয় , বরং তার অস্তিত্ব একই সময়ে গোটা দুনিয়াকে বেষ্টন করে রাখে এবং দুনিয়ার প্রত্যেকটি জিনিসের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত অবস্থা তার দৃষ্টির সামনে থাকে। পূর্বোক্ত ব্যখ্যা অনুসারে হাজির নাজির এটি একমাত্র আল্লাহ তায়ার সিফাত এবং তার জন্যই প্রযোজ্য , এমনকি নবী সা. বা কোন ওলী সব জায়গায় হাজির নাজির হতে পারে না। আল্লাহ তায়ালার সিফাতের সঙ্গে বান্দাকে মিলানো কুফর , শিরক ও চরম ভ্রষ্টতা। বিদাতীদের আক্বীদা মতে শুধু হুজুরে পাক সা. নন , বরং বুজুরগানে দ্বীনও পৃথিবীর সবকিছুকে হাতের তালুর মত দেখতে পান। তারা দূরের ও কাছের আওয়াজ শুনতে পান এবং হাজার হাজার মা...

রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বাতিলের সম্ভাব্য পরিণতি!!!

সংবিধান থেকে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম তুলে দিলে আমরা যে সকল সমস্যার সম্মুখীন হতে পারি ➖➖➖➖➖➖➖➖➖➖ শুধুমাত্র লাইক, কমেন্ট, শেয়ার, কপিই নয়! সম্ভব হলে লিফলেট ছেপে লেখাটি ছড়িয়ে দিন!! : রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বাতিলে সমস্যা কোথায়? প্রশ্নবানে জর্জরিত হচ্ছি, সমস্যা কোথায়? প্রশ্ন আসছে সব শ্রেণী থেকে। প্রথম কথা হচ্ছে, কেউ আমার হাত কাটলেও ব্যথা পাই, আঙুল কাটলেও। কারণ হাত-পা সবই আমার! ইসলামী বিধান প্রতিষ্ঠিত নাই বলে সংবিধান থেকেও মুছে দিতে হবে? হাত কাটা রুখতে পারি নি বলে পা কাটারও সুযোগ দেবো? কারো শরীরে অনুভূতি না থাকলে সেটা তার ব্যাপার, আমি কালিমা পড়েছি, দ্বীনের যে কোন বিষয়ে আঘাত আসলে আমার কলিজায় লাগে! এবার আসল কথায় ফিরে যাই; ক. ইসলামী শরী’আহ হচ্ছে কোন বিধান পালন না করলে আপনি গুনাহগার, বেঈমান নন, কিন্তু অস্বীকার করলে বেঈমান। সংবিধান থেকে সরিয়ে দেওয়ার অর্থ হচ্ছে আপনি অস্বীকার করছেন! খ. বুদ্ধিমানদের কাজ হচ্ছে ইতিহাস থেকে শিক্ষা নেওয়া, আপনি কামাল আতার্তুকের তুরস্কের ইতিহাস পড়ুন, বুঝবেন কেন আমাদের এতো মাথাব্যথা! গ. প্রধানমন্ত্রী তনয় ও আইটি উপদেষ্টা জয় সাহেবের সে বক্তব্...