সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

মানব জীবনে জিকিরের গুরুত্ব ও মর্যাদা

মানব জীবনে জিকিরের গুরুত্ব ও মর্যাদা

                                        এক ॥
জিকির শব্দের অর্থ স্মরণ করা। যার সম্পর্ক হলো অন্তরের সঙ্গে। তবে জিহ্বা যেহেতু অন্তরের মুখপাত্র কাজেই মুখে স্মরণ করাকেও জিকির বলা যায়। এতে বোঝা যায়, সে মৌখিক জিকিরই গ্রহণযোগ্য, যার সঙ্গে মনেও আল্লাহর স্মরণ বিদ্যমান থাকবে। তবে কোনো লোক যদি মুখে তসবি জপে; কিন্তু তার মন যদি অনুপস্থিত থাকে অর্থাৎ জিকিরে মন না বসে, তবুও তা একেবারে ফায়দাহীন নয়। হজরত আবু ওসমান (রহ.) এর কাছে এক ভক্ত এমনি অবস্থায় অভিযোগ করেছিল যে, মুখে মুখে জিকির করি বটে; কিন্তু অন্তরে কোনো মাধুর্য অনুভব করতে পারি না। তখন তিনি বললেন, তবুও আল্লাহর শুকরিয়া আদায় কর যে, তিনি তোমার একটি অঙ্গ জিহ্বাকে তো অন্তত তার জিকিরে নিয়োজিত করেছেন।

।। দুই ।।
জিকির একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। জাহান্নাম থেকে মুক্তি লাভের সহজ উপায়। জিকির অন্তরকে যাবতীয় গোনাহ, অসৎ স্বভাব এবং কুরিপু থেকে মুক্ত ও পবিত্র রাখার একক মাধ্যম। উন্নতির শীর্ষস্থান ও দিদারে ইলাহি লাভ করার নিকটতম উসিলা। মহান আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কোরআনের সূরা আল আহজাবের ৪১ নম্বর আয়াতে এরশাদ করেন, ‘হে মুমিনরা! তোমরা আল্লাহকে অধিক পরিমাণে স্মরণ করো।হজরত ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, আল্লাহ তায়ালা জিকির ব্যতীত এমন কোনো ফরজই আরোপ করেননি যার পরিসীমা ও পরিমাণ নির্ধারিত নেই। নামাজ দিনে পাঁচবার এবং প্রত্যেক নামাজের রাকাত নির্দিষ্ট। রমজানের রোজা নির্দিষ্ট। যাকাত বছরে একবার ফরজ হয়। হজ বিশেষ স্থানে বিশেষ অনুষ্ঠানাদি ও সুনির্দিষ্ট কার্য-ক্রিয়ার নাম। পক্ষান্তরে আল্লাহর জিকির এমন ইবাদত, যার কোনো সীমা বা সংখ্যা নির্ধারিত নেই। বিশেষ সময় ও কাল নির্ধারিত নেই। সুস্থ থাকুক বা অসুস্থ, রাত হোক বা দিন সর্বাবস্থায় আল্লাহর জিকিরের হুকুম রয়েছে। ইমাম আহমাদ (রহ.) হজরত আবু দারদা (রা.) থেকে বর্ণনা করেন, প্রিয় নবী (সা.) সাহাবায়ে কেরামদের লক্ষ্য করে বললেন, আমি কি তোমাদের এমন কোনো আমলের সন্ধান দেব না, যা তোমাদের যাবতীয় আমলের চেয়ে উত্তম, তোমাদের প্রভুর কাছে সর্বাধিক গ্রহণযোগ্য, তোমাদের মর্যাদা বিশেষভাবে বৃদ্ধিকারী, আল্লাহর রাস্তায় সোনা-রুপা দান করা এবং জেহাদ থেকেও বেশি পুণ্যজনক? সাহাবায়ে কেরাম আরজ করলেন, ইয়া রাসূলুল্লাহ (সা.)! সেটা কোন আমল? প্রিয় নবী (সা.) বললেন, মহীয়ান-গরিয়ান আল্লাহ পাকের জিকির।
আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কোরআনুল কারিমের সূরা বাকারার ১৫২ নম্বর আয়াতে এরশাদ করেছেন, ‘তোমরা আমাকে স্মরণ করো, আমিও তোমাদের স্মরণ রাখব অর্থাৎ তোমরা যদি আমার হুকুমের মাধ্যমে আমাকে স্মরণ করো। তাহলে আমিও তোমাদের সওয়াব ও মাগফিরাতের মাধ্যমে স্মরণ করব।আল্লাহ তায়ালা সূরা আল ইমরানের ১৯১ নম্বর আয়াতে ঘোষণা করেন, ‘যারা আল্লাহকে স্মরণ করে দণ্ডায়মান, উপবেশন ও শয়ন অবস্থায় অর্থাৎ সর্বদা যারা আল্লাহকে স্মরণ করে, তার জিকিরে মশগুল থাকে, তারাই বুদ্ধিমান এবং তার প্রিয় বান্দা।এতে বোঝা গেল, মানুষ যে বিষয়টিকে বুদ্ধি এবং বুদ্ধিমানের মাপকাঠি বলে গণ্য করে নিয়েছে, তা শুধু ধোঁকা। বরং সেসব লোকই বুদ্ধিমান যারা আল্লাহকে সর্বাবস্থায় সর্বক্ষণ স্মরণ করেন। মহান আল্লাহ তায়ালা এরশাদ করেছেন, ‘হে মোমিনরা! তোমাদের ধন-সম্পদ ও সন্তান-সন্ততি যেন তোমাদের আল্লাহর স্মরণ থেকে গাফেল না করে। যারা এ কারণে গাফেল হয় তারা ক্ষতিগ্রস্ত। (সূরা মুনাফিকুন : ৯)। যেসব বিষয় মানুষকে দুনিয়াতে আল্লাহ থেকে গাফেল করে, এর মধ্যে প্রধান দুটি হলো ধন-সম্পদ ও সন্তান-সন্ততি। কিন্তু সর্বদা খেয়াল রাখতে হবে, এসব বস্তু যেন মানুষকে আল্লাহর স্বরণ থেকে গাফেল না করে। যারা গাফেল হবে তারাই ক্ষতিগ্রস্ত। এক ব্যক্তি প্রিয় নবী (সা.)-এর কাছে আরজ করল যে, ইসলামের আমল তথা ফরজ ও ওয়াজিব তো অসংখ্য। আপনি আমাকে এমন একটি সংক্ষিপ্ত অথচ সবকিছু অন্তর্ভুক্তকারী আমলের কথা বলে দিন, যা সুদৃঢ়ভাবে উত্তমরূপে হৃদয়ঙ্গম করে নিতে পারি। প্রিয় নবী (সা.) বললেন, তোমার জবান যেন সর্বদা আল্লাহর জিকিরে তরতাজা থাকে। (মুসনাদে আহমদ, ইবনে কাসির)।
মৃত লোকদের মধ্যে জীবিত মানুষের যে অবস্থা, শুষ্ক তৃণলতার মধ্যে সতেজ-সবুজ বৃক্ষ যেমন, মোহমুগ্ধ ও গাফেল লোকদের মধ্যে আল্লাহ তায়ালাকে স্মরণকরী ব্যক্তির অবস্থা ঠিক তেমনি। হজরত আবু মুসা আশায়ারি (রা.) থেকে বর্ণিত, প্রিয় নবী (সা.) এরশাদ করেন, ‘আল্লাহর জিকিরকারী জীবিত লোকের মতো এবং জিকির থেকে গাফেল ব্যক্তি মৃত লোকের মতো।

।। তিন ।।
হজরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) প্রিয় নবী (সা.) থেকে বর্ণনা করেন, তিনি প্রায় বলতেন, ‘প্রত্যেক বস্তু পরিষ্কার করার যন্ত্র রয়েছে, আর অন্তরকে পরিষ্কার ও পবিত্র করার যন্ত্র হলো জিকির। আল্লাহর জিকির অপেক্ষা তার আজাব থেকে অধিক মুক্তিদাতা আর কোনো ইবাদত নেই।’ (বায়হাকি শরিফ)। হজরত ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, প্রিয় নবী (সা.) এরশাদ করেন, ‘শয়তান আদম সন্তানের কলবের ওপর জেঁকে বসে, যখন সে আল্লাহ পাকের স্মরণ করে তখনই সরে যায়। আর যখন সে আল্লাহর স্মরণ থেকে গাফেল হয়ে যায়, তখন শয়তান তার দিলে ওয়াসওয়াসা (কুমন্ত্রণা) দিতে থাকে।’ (বোখারি, মিশকাত)। জিকির শয়তানের জন্য দাহ। জিকির করলে এ তাপদাহে সে জলে যায় বলেই বনি আদমের অন্তর থেকে সরে যায়। পক্ষান্তরে জিকিরবিহীন অবস্থা শয়তানের জন্য আরামদায়ক। কাজেই সে বসে থাকে। হজরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেছেন, ‘প্রিয় নবী (সা.) এরশাদ করেছেন, তোমরা বেহেশতের বাগিচায় পৌঁছে তার ফল ভক্ষণ করবে।সাহাবা কেরাম জিজ্ঞেস করলেন, ‘ইয়া রাসূলুল্লাহ (সা.)! বেহেশতের বাগিচা কী? উত্তরে প্রিয় নবী (সা.) বললেন, জিকিরের মজলিস।’ (তিরমিজি, মিশকাত)। জান্নাত হলো পবিত্র জায়গা সেখানে ঈর্ষা, মোহ, হিংসা-বিদ্বেষ থাকবে না। তদ্রূপ দুনিয়ায় মানুষ যখন জিকিরের মজলিসে বসে তখন সেখানে ওইসব জিনিস থাকে না। এজন্যই জিকিরের মজলিসকে জান্নাতের বাগান বলা হয়েছে। আল্লাহ তায়ালা এরশাদ করেন, যারা ঈমানদার, তারা এমন যে, যখন আল্লাহর নাম স্মরণ করা হয়, তখন তাদের অন্তর ভীত হয়ে পড়ে। (সূরা আনফাল : ২)। অর্থাৎ তাদের সামনে যখন আল্লাহর স্মরণ করা হয়, তখন তাদের অন্তর ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে ওঠে এবং আল্লাহ তায়ালার মহব্বত ও প্রেমে ভরপুর হয়ে যায়। কোরআনুল কারিমের অন্য স্থানে খোদাপ্রেমীদের সুসংবাদ দেয়া হয়েছে, বলা হয়েছে, হে নবী (সা.) সুসংবাদ দিয়ে দিন সেসব বিনয়ী কোমল প্রাণ লোকদের, যাদের অন্তর তখন ভীতসন্ত্রন্ত হয়ে ওঠে, যখন তাদের সম্মুখে আল্লাহ তায়ালার স্মরণ করা হয়।আয়াতে যে ভয়ভীতির কথা বলা হয়েছে, তা মনের প্রশান্তি ও স্বস্তির পরিপন্থী নয়, যেমন- হিংস্র জীবজন্তু কিংবা শত্রুর ভয় মানুষের মনের শান্তিকে ধ্বংস করে দেয়। আল্লাহর জিকিরের দরুন অন্তরে সৃষ্ট ভয় তা থেকে সম্পূর্ণ আলাদা কারণ। আল্লাহ তায়ালা এরশাদ করেছেন, ‘আল্লাহর জিকির দ্বারাই (মোমিন বান্দার) অন্তর প্রশান্তি লাভ করে। (সূরা রাদ : ২৮)। কোনো কোনো তাফসিরকারক বলেছেন, ‘এখানে আল্লাহর জিকির বা স্মরণ অর্থ হচ্ছে কোনো ব্যক্তি কোনো পাপ কাজে লিপ্ত হতে ইচ্ছা করছিল, তখনই আল্লাহর কথা স্মরণ হয়ে গেল এবং তাতে সে আল্লাহর আজাবের ভয়ে ভীত হয়ে গেল এবং সে পাপ থেকে বিরত রইল। এ ক্ষেত্রে ভয় অর্থ হবে আজাবের ভয়।’ (তাফসিরে বাহরে মুহিত)। বোখারি শরিফের ২/৭৪৮ পৃষ্ঠার পাদটিকায় উদ্ধৃত হয়েছে, জিকির দ্বারা উদ্দেশ্য ওইসব শব্দ বাক্য পড়া, যা পড়তে কোরআন ও হাদিসে উৎসাহিত ও উদ্বুদ্ধ করা হয়েছে। তবে জিকিরের দ্বারা উদ্দেশ্য এও যে, ওইসব আমল, যা ওয়াজিব বা মুস্তাহাব তা সর্বাবস্থায় করা। মুজাদ্দিদে আলফেসানি (রহ.) বলেন, ‘যে আমলই শরিয়তসম্মত হবে, তা জিকির বলে ধরা হবে।’ (মাকতুবাত-২/৪২)। হজরত জাবের (রা.) থেকে বর্ণিত, প্রিয় নবী (সা.) বলেন, সর্বোত্তম জিকির হলো লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু।’ (মুসলিম তিরিমিজি)। আল্লাহ তায়ালা সূরা আনকাবুতের ৪৫ নম্বর আয়াতের মধ্যে এরশাদ করেন, আল্লাহর স্মরণ সর্বশ্রেষ্ঠ। সার্বক্ষণিক জিকির আল্লাহ তায়ালাকে সন্তুষ্ট করে, শয়তানকে পরাভূত করে, দুশ্চিন্তা দূর করে, অন্তরে শান্তি সৃষ্টি করে, শরীর ও কলবকে শক্তিশালী করে, আল্লাহর ভয়ভীতি ও ভালোবাসা অর্জনে সহায়তা করে। আর জিকির হলো দ্বীন ইসলামের রূহ তথা মৌলিক প্রাণশক্তি। শুধু তাই নয়, সকাল-সন্ধ্যা জিকিরে পরকালে জিকিরকারী বিদ্যুৎ বেগে পুলসিরাত পার হয়ে পরম ও চরম সুখের স্থান জান্নাতে পৌঁছে যাবে। জিকির দ্বারা মহান আল্লাহ তায়ালা অন্তরের ময়লা দূর করে ঈমানি নূর দান করেন। ঈমান আনার পরপরই প্রত্যেক মোমিন মুসলমানের ওপর দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত সালাত আদায় করা ফরজ। এরপর পবিত্র রমজান মাসের রোজা এবং সামর্থ্যবানদের ওপর জাকাত ও হজ ফরজ করা হয়েছে। পাশাপাশি মহান আল্লাহ তায়ালার আরও নিকটবর্তী হওয়ার মাধ্যম হলো তাসবিহ তাহলিল পাঠ করা।


মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

‘হুদ হুদ’ প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত

ঘূর্ণিঝড় ‘ হুদ হুদ ’ উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘণীভূত হয়ে অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে। এটি অবস্থান করছে পশ্চিম মধ্যবঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন পূর্ব মধ্যবঙ্গোপসাগর এলাকায়। ·          অগ্রসর হচ্ছে ‘ হুদ হুদ ’, সাগরে সতর্কতা সংকেত ·            ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে সাগর উত্তাল থাকায় চট্টগ্রাম , কক্সবাজার , মংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে তিন নম্বর স্থানীয় সর্তকতা সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। আবহাওয়া অধিদপ্তর শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টার বুলেটিনে এ তথ্য দেওয়া হয়। এতে বলা হয় , ঘূর্ণিঝড়টি সন্ধ্যা ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৯৭৫ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে , কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৯১০ কিমি দক্ষিণপশ্চিমে , মংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৮৮০ কিমি দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্র বন্দর থেকে ৮৭০ কিমি দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছে। এটি আরও ঘণীভূত হয়ে পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে। এ সময় ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৭৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১২০ কিমি থেকে ...

রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বাতিলের সম্ভাব্য পরিণতি!!!

সংবিধান থেকে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম তুলে দিলে আমরা যে সকল সমস্যার সম্মুখীন হতে পারি ➖➖➖➖➖➖➖➖➖➖ শুধুমাত্র লাইক, কমেন্ট, শেয়ার, কপিই নয়! সম্ভব হলে লিফলেট ছেপে লেখাটি ছড়িয়ে দিন!! : রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বাতিলে সমস্যা কোথায়? প্রশ্নবানে জর্জরিত হচ্ছি, সমস্যা কোথায়? প্রশ্ন আসছে সব শ্রেণী থেকে। প্রথম কথা হচ্ছে, কেউ আমার হাত কাটলেও ব্যথা পাই, আঙুল কাটলেও। কারণ হাত-পা সবই আমার! ইসলামী বিধান প্রতিষ্ঠিত নাই বলে সংবিধান থেকেও মুছে দিতে হবে? হাত কাটা রুখতে পারি নি বলে পা কাটারও সুযোগ দেবো? কারো শরীরে অনুভূতি না থাকলে সেটা তার ব্যাপার, আমি কালিমা পড়েছি, দ্বীনের যে কোন বিষয়ে আঘাত আসলে আমার কলিজায় লাগে! এবার আসল কথায় ফিরে যাই; ক. ইসলামী শরী’আহ হচ্ছে কোন বিধান পালন না করলে আপনি গুনাহগার, বেঈমান নন, কিন্তু অস্বীকার করলে বেঈমান। সংবিধান থেকে সরিয়ে দেওয়ার অর্থ হচ্ছে আপনি অস্বীকার করছেন! খ. বুদ্ধিমানদের কাজ হচ্ছে ইতিহাস থেকে শিক্ষা নেওয়া, আপনি কামাল আতার্তুকের তুরস্কের ইতিহাস পড়ুন, বুঝবেন কেন আমাদের এতো মাথাব্যথা! গ. প্রধানমন্ত্রী তনয় ও আইটি উপদেষ্টা জয় সাহেবের সে বক্তব্...
ইসরাইলি পণ্যকে হালাল বলা , মাজহাব মানা হারাম ও শিরক বলা সহ আরও আনেক লাগামহীন কথার নায়ক ইহুদীদের দালাল এই ইবলিস- কে একটু শিক্ষা দিয়ে আসুন । https://www.facebook.com/md.rohan.7359447?ft[ego_id]=100007949353950&ft[qid]=6035260132232542925&ft[mf_story_key]=627004182696301145&ft[ei]=&ft[fbfeed_location]=1&ft[insertion_position]=1&__md__=1