সঙ্ঘাত বন্ধের চেষ্টায় মধ্যপ্রাচ্যে বান কি
মুন
গাজায়
প্রতি ১০ সেকেন্ডে একটি গোলা আঘাত হানছে
নিষ্পাপ শিশুটি জানে না যুদ্ধ কী। জানে না কী তার অপরাধ। তার পরও ইসরাইলি
বর্বর হামলায় প্রাণ দিতে হলো তাকে ।
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরাইলের স্থল অভিযান গতকাল আরো তীব্রতর করা হয়। আল জাজিরার খবরে বলা হয়, গতকাল গাজার পূর্ব সীমান্ত বরাবর প্রতি ১০ সেকেন্ডে একটি করে ট্যাংকের গোলা নিক্ষেপ করে ইসরাইলি সেনারা। এতে অন্তত ৩৪ জন নিহত হয়েছেন। এ নিয়ে গত ১২ দিনে নিহতের
সংখ্যা ৩৩৩ জনে পৌঁছেছে। তাদের
মধ্যে ৭৭টি শিশু, ২৪ জন নারী ও ১৮ জন বয়স্ক ফিলিস্তিনিও রয়েছেন। এ পর্যন্ত আহত হয়েছেন ৬৭৫ শিশুসহ ২,৩৮৫ জন। অন্য দিকে গাজা থেকে হামাসের সামরিক শাখা ইজ্জাদ্দিন আল-কাসসাম ব্রিগেডের রকেট হামলা অব্যাহত রয়েছে। রকেট হামলায় এ পর্যন্ত দুই ইসরাইলি নিহত ও দু’জন আহত হয়েছেন। এই সীমান্তজুড়ে
ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের ট্যানেল বা সুড়ঙ্গগুলো ধ্বংস করাই এই হামলার লক্ষ্য বলে ইসরাইলি বাহিনী
জানিয়েছে। খবর আল জাজিরা,
এএফপি ও বিবিসি।
এ দিকে জাতিসঙ্ঘ মহাসচিব বান কি মুন ইসরাইল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে চলমান সহিংসতা নিরসনের ল্েয গতকাল ওই অঞ্চল সফরে গেছেন। সফরকালে তিনি ইসরাইল ও হামাসের মধ্যে শান্তিপূর্ণ সমঝোতার চেষ্টা করবেন।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক
ওবামা ইসরাইলের আত্মরার অধিকারকে সমর্থন করেছেন। তবে গাজায় হামলা তীব্রতর না করার পক্ষেও বলেছেন তিনি। গাজায় তিন
শতাধিক বেসামরিক মানুষের প্রাণহানির
ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন তিনি। গতকাল ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সাথে কথা বলেন ওবামা। এ সময় তিনি হামাসের হামলা থেকে ইসরাইলের আত্মরার অধিকারকে
সমর্থন করে ওবামা বলেন,
কোনো রাষ্ট্রের সীমান্তের অভ্যন্তরে রকেট নিক্ষেপের বিষয়টি মেনে নেয়া উচিত নয়। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র, আমাদের মিত্র ও সহযোগী রাষ্ট্রগুলো ইসরাইলের হামলা আরো তীব্রতর হওয়ার ঝুঁকি এবং আরো বেশি নিরীহ মানুষের প্রাণহানির আশঙ্কায় গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।
ওই দিকে বান কি মুনের সফরের উদ্দেশ্য হলো ইসরাইল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে চলমান ‘সহিংসতার
অবসান ঘটানো ও সমাধানের পথ বের করা।’ তবে
জাতিসঙ্ঘ মহাসচিবের মধ্যস্থতায় বরফ গলবে কি না তা নিয়ে
সংশয় রয়েছে। এ দিকে ১০ দিনের বিমান
হামলার পর গত বৃহস্পতিবার স্থল অভিযানে নামে ইসরাইল। এতে এখন পর্যন্ত ৬৫ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন।
জাতিসঙ্ঘ বলছে, ইসরাইলের স্থল অভিযান থেকে প্রাণ বাঁচাতে ৪০ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান নিয়েছেন। ওইদিকে মিসরের
প্রস্তাবিত অস্ত্রবিরতির শর্ত
মেনে নিতে হামাসের সাথে আলোচনা করতে তুরস্ক ও কাতারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন