সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পবিত্র রমযান মাস উপলক্ষে কুরআন-হাদিসের আলোকে মুনাজাত


পবিত্র রমযান মাস উপলক্ষে কুরআন-হাদিসের আলোকে মুনাজাত

সকল প্রশংসা আল্লাহ জন্য, যিনি সৃষ্টি জগতের মহান প্রতিপালক। আমরা কেবল তোমারই ইবাদত করি এবং তোমারই কাছে সাহায্য চাই। হে আল্লাহ্ আমাদেরকে সহজ ও সরল পথ প্রদর্শন করো। নিশ্চয়ই তুমি সর্ব বিষয়ে শক্তিমান। হে আল্লাহ্ আমাদেরকে হিদায়াতের উপর রাখো এবং সফলতা দান করো। হে আল্লাহ্ আমরা তোমার পবিত্রতা, মহিমা ও একাত্মতা ঘোষণা করছি। এই আসমানসমূহ ও জমিনের একমাত্র মালিক তুমি। তুমি মহান, মহাজ্ঞানী ও মহাবিজ্ঞ। তুমি আমাদের সৃষ্টিকর্তা। আমাদেরকে তাকওয়া অবলম্বন করার তৌফিক দান করো। আমরা সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, তুমি এক এবং অদ্বিতীয়, তুমি ছাড়া কোন সত্যিকার ইলাহ্ নেই, হযরত মোহাম্মদ মোস্তফা (সা.) তোমার প্রেরিত সর্বশেষ নবী ও রাসূল। আমরা আরো সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, তুমি তোমার হাবীব মোহাম্মদ (সা.)-এর উপর নাযিল করেছো পবিত্র কুরআন। আর এই পবিত্র কুরআনে পৃথিবীর সমস্ত কিছু তুমি খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে বর্ণনা করেছো। হযরত মোহাম্মদ মোস্তফা (সা.)-কে দান করো সর্বোচ্চ সুমহান মর্যাদা ও বেহেস্তের সর্বশ্রেষ্ঠ প্রশংসিত স্থানে তাকে অধিষ্ঠিত করো, যার প্রতিশ্রুতি তুমি তাকে দিয়েছো। হে রহমানর রহিম! তোমার সকল ফেরেস্তা, নবী-রসূলগণের কাছে আমাদের সালাম পৌঁছে দাও আর তাদের উপর তোমার শান্তি ও রহমত বর্ষণ করো। হে আল্লাহ্ আমরা ঈমান এনেছি তোমার প্রতি, তোমার ফেরেস্তাকূলের উপর, তোমার নবী-রাসূলগণের উপর, আসমানী কিতাবের উপর। আমাদেরকে ক্ষমা করে দাও। অবশ্যই তুমি ক্ষমাশীল ও পরম দয়ালু। হে আল্লাহ্ তোমার সাথে কৃত অঙ্গীকার পূর্ণ করা তৌফিক দান করো। আমাদেরকে ধৈর্য ও সালাতের মাধ্যমে সাহায্য কামনা করার তৌফিক দাও। হে আমাদের প্রতিপালক, আমাদের যাবতীয় কাজ সুন্দর করে দাও এবং আমাদের বর্তমান আত্মীয়-স্বজনদের মাঝে ও পরবর্তীদের মাঝে আমাদের সম্পর্কে ভালো আলোচনা জারি রাখো। হে আল্লাহ্ ! আমাদেরকে সালাত প্রতিষ্ঠাকারী দলের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করো। হে আল্লাহ্ ! তুমি একমাত্র সাহায্যকারী ও পরম বন্ধু। আমাদেরকে পবিত্র কুরআন মজীদ থেকে উপদেশ গ্রহণ করার তৌফিক দান করো। আমাদেরকে সদাসত্য কথা বলার তৌফিক দান করো। আমাদেরকে সৎকর্মশীলদের দলভুক্ত করো। আমাদেরকে সুখময় ও শান্তি জান্নাতের উত্তরাধিকারীদের দলভুক্ত করো। হে আল্লাহ্্ আমাদের যাবতীয় পাপরাশি ক্ষমা করে দাও। আমাদেরকে অভাব মুক্ত করো। আমাদের জরুরতগুলো পূর্ণ করে দাও। হে আল্লাহ্ ! তুমিই সর্বশ্রেষ্ঠ দয়ালু আমরা তোমারই রহমত কামনা করছি। হে আল্লাহ্ ! আমাদেরকে রেহাই দাও কৃপণতা থেকে, অলসতা থেকে, চলৎশক্তিহীন বয়স থেকে আর আমাদের পিতা-মাতার উপর শান্তি ও রহমত বর্ষণ করো। যেমনি তারা আমাদেরকে শৈশবে লালন-পালন করেছে। আমাদের জিহ্বা যেন সবসময় তোমার জিকিরে সিক্ত থাকে সেই তৌফিক দান করো। তোমার জিকির, কৃতজ্ঞতা ও ইবাদত সহীহ-শুদ্ধ, উত্তম ও সঠিক সময়ে সমাধা করার জন্য তুমি আমাদেরকে সাহায্য সহযোগিতা করো। আমাদের উপস্থিত বুদ্ধি বাড়াইয়া দাও ও স্মরণ শক্তি বৃদ্ধি করে দাও। হে আল্লাহ ! আমাদেরকে সম্মানজনক, হালাল ও বরকতপূর্ণ রিজিকের ব্যবস্থা করে দাও। কাল কেয়ামতের দিন আমাদেরকে অপমানিত/লজ্জিত করো না। হে আল্লাহ্ আমাদেরকে দুনিয়াতে কল্যাণ দান করো, আখিরাতে কল্যাণ দান করো আর আমাদেরকে জাহান্নামের ভয়াবহ আজাব থেকে রক্ষা করো। হে আল্লাহ্ আমাদেরকে সুস্থ-সবল নেক সন্তান দান করো, যাকে দেখলে আমাদের নয়ন জুড়ায় আর তাকে দ্বীনের দায়ী বানাও। হে আল্লাহ্ আমাদেরকে এলেম দান করো। আমাদেরকে শারীরিক সুস্থতা দান করো। আমাদের মাঝে যারা বালেক পুরুষ রয়েছে তাদেরকে পাঁচ ওয়াক্ত সালাত সহিহভাবে জামায়াতে আদায় করার তৌফিক দান করো। আমাদের মা-বোনদেরকে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ সহিহ-শুদ্ধভাবে সময়মত আদায় করবার তৌফিক দান করো এবং তাদেরকে পর্দা করার তৌফিক দান করো। আমাদেরকে সহিহ-শুদ্ধভাবে পবিত্র কুরআন মজিদ তেলেয়াত করার তৌফিক দান করো। আমাদের মধ্যে যাদের মা-বাবা, ভাই-বোন, আত্মীয়-স্বজন, পাড়া-প্রতিবেশী ও বন্ধু-বান্ধব যারা ইহকাল ত্যাগ করেছে তাদেরকে তুমি ক্ষমা করে দাও এবং তাদের কবরের আজাব মাফ করে দিয়ে জান্নাতবাসী করে সম্মানিত করো। হে আল্লাহ্ ! আমাদেরকে পূর্ণভাবে ইসলামে প্রবেশ না করিয়ে কবরে ডাক দিয়ো না। হে আল্লাহ্ ! তুমি আমাদের প্রত্যেককে দুনিয়ার বালা-মুসীবত থেকে হেফাজত কর। আমাদেরকে ধৈর্য ধারণ করার ক্ষমতা দান করো। হে আল্লাহ্ ! আমাদেরকে সাহায্য করো কবরের আজাব থেকে, দজ্জালের ফিতনা থেকে, জাহান্নামের আগুন থেকে। আমাদের জীবনের নিরাপত্তা দান করোআমাদেরকে শোকরগুজারকারী ও পরহেজগারদের দলভুক্ত করো।
হে আল্লাহ্ ! আমাদের সকলকে আত্মীয়তার বন্ধনকে অটুট করার সামর্থ্য দান কর। হে আল্লাহ্ ! আমাদেরকে তুমি যে রুজি দান করেছো তা থেকে সদকা করার তৌফিক দান কর। হে আল্লাহ্ ! তুমি সর্বশক্তিমান, তুমি সুমহান, তুমি চিরজীবী ও চিরস্থায়ী। হে আল্লাহ্ ! আমাদেরকে তোমার পবিত্র ঘর ক্বাবা তওয়াফ করার তৌফিক দান কর। রামাযানে আমাদেরকে রোজা ও তারাবীহ আদায় করার তৌফিক দান কর এবং বিগত রামাযানের রোজা ও তারাবীহগুলোকে কবুল ও মঞ্জুর করো। হে আল্লাহ্ ! আমাদেরকে মানুষের মুখাপেক্ষী করো না, হে দয়াময় প্রভু আমরা কেবল তোমার মুখাপেক্ষী হয়েই থাকতে চাই। আমাদেরকে দাওয়াতের মেহনত করার তৌফিক দান করো। আমাদের যাবতীয় ঋণগুলো পরিশোধ করার ব্যবস্থা করে দাও। আমাদেরকে সম্মানজনক মৃত্যু দান কর। হে আল্লাহ্্ তুমি উত্তম ফয়সালাকারী ও সূক্ষè বিচারক, হে আল্লাহ্ !  তুমি আমাদের দোয়া কবুল কর, হে পরম করুণাময় আমরা যেভাবে ইবাদত-বন্দেগী করলে তুমি রাজী ও খুশি হবে আমাদেরকে সেইভাবে ইবাদত করার তৌফিক দান কর। তোমার সন্তুষ্টি লাভের, তোমার দিদার লাভের তৌফিক দাও আমাদের। হে আল্লাহ্ ! আমাদের আত্মসম্মান বৃদ্ধি করে দাও। আমাদেরকে শয়তানের কুমন্ত্রণা থেকে রক্ষা করো। হে আল্লাহ্ ! তুমি আরশের মহান অধিপতি, হে সর্বশ্রোতা আল্লাহ্ ! আমাদের দুআ কবুল ও মঞ্জুর করো।



মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

‘হুদ হুদ’ প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত

ঘূর্ণিঝড় ‘ হুদ হুদ ’ উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘণীভূত হয়ে অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে। এটি অবস্থান করছে পশ্চিম মধ্যবঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন পূর্ব মধ্যবঙ্গোপসাগর এলাকায়। ·          অগ্রসর হচ্ছে ‘ হুদ হুদ ’, সাগরে সতর্কতা সংকেত ·            ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে সাগর উত্তাল থাকায় চট্টগ্রাম , কক্সবাজার , মংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে তিন নম্বর স্থানীয় সর্তকতা সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। আবহাওয়া অধিদপ্তর শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টার বুলেটিনে এ তথ্য দেওয়া হয়। এতে বলা হয় , ঘূর্ণিঝড়টি সন্ধ্যা ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৯৭৫ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে , কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৯১০ কিমি দক্ষিণপশ্চিমে , মংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৮৮০ কিমি দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্র বন্দর থেকে ৮৭০ কিমি দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছে। এটি আরও ঘণীভূত হয়ে পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে। এ সময় ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৭৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১২০ কিমি থেকে ...

রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বাতিলের সম্ভাব্য পরিণতি!!!

সংবিধান থেকে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম তুলে দিলে আমরা যে সকল সমস্যার সম্মুখীন হতে পারি ➖➖➖➖➖➖➖➖➖➖ শুধুমাত্র লাইক, কমেন্ট, শেয়ার, কপিই নয়! সম্ভব হলে লিফলেট ছেপে লেখাটি ছড়িয়ে দিন!! : রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বাতিলে সমস্যা কোথায়? প্রশ্নবানে জর্জরিত হচ্ছি, সমস্যা কোথায়? প্রশ্ন আসছে সব শ্রেণী থেকে। প্রথম কথা হচ্ছে, কেউ আমার হাত কাটলেও ব্যথা পাই, আঙুল কাটলেও। কারণ হাত-পা সবই আমার! ইসলামী বিধান প্রতিষ্ঠিত নাই বলে সংবিধান থেকেও মুছে দিতে হবে? হাত কাটা রুখতে পারি নি বলে পা কাটারও সুযোগ দেবো? কারো শরীরে অনুভূতি না থাকলে সেটা তার ব্যাপার, আমি কালিমা পড়েছি, দ্বীনের যে কোন বিষয়ে আঘাত আসলে আমার কলিজায় লাগে! এবার আসল কথায় ফিরে যাই; ক. ইসলামী শরী’আহ হচ্ছে কোন বিধান পালন না করলে আপনি গুনাহগার, বেঈমান নন, কিন্তু অস্বীকার করলে বেঈমান। সংবিধান থেকে সরিয়ে দেওয়ার অর্থ হচ্ছে আপনি অস্বীকার করছেন! খ. বুদ্ধিমানদের কাজ হচ্ছে ইতিহাস থেকে শিক্ষা নেওয়া, আপনি কামাল আতার্তুকের তুরস্কের ইতিহাস পড়ুন, বুঝবেন কেন আমাদের এতো মাথাব্যথা! গ. প্রধানমন্ত্রী তনয় ও আইটি উপদেষ্টা জয় সাহেবের সে বক্তব্...
ইসরাইলি পণ্যকে হালাল বলা , মাজহাব মানা হারাম ও শিরক বলা সহ আরও আনেক লাগামহীন কথার নায়ক ইহুদীদের দালাল এই ইবলিস- কে একটু শিক্ষা দিয়ে আসুন । https://www.facebook.com/md.rohan.7359447?ft[ego_id]=100007949353950&ft[qid]=6035260132232542925&ft[mf_story_key]=627004182696301145&ft[ei]=&ft[fbfeed_location]=1&ft[insertion_position]=1&__md__=1