সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

এরা কি মানুষ নয় ?

গাজায় লাশের স্তূপ, একদিনেই নিহত ৮৯




ভয়ঙ্কর এক রক্তাক্ত দিন পার করলো অবরুদ্ধ গাজা সিটি। রোববার গাজায় ইহুদিবাদী ইসরাইলের বর্বর হামলায় অন্তত ৮৯ জন নিহত হয়েছে। এদিন ইসলামী প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের হামলায় ১৩ ইসরাইলি সেনা নিহত হয়েছে বলে স্বীকার করেছে ইসরাইলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। খবর বিবিসি ও রাশিয়া টুডের।

ফলে প্রাণহানির দিক থেকে গাজায় সবচেয়ে ভয়ঙ্কর দিন রোববার। নিয়ে গত দিনের ইসরাইলি হামলায় গাজায় ৪২৭ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।

অন্যদিকে ইসরাইলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে যে শনিবার রাত থেকে রবিবার সকাল পর্যন্ত হামাসের আক্রমণে তাদের ১৩ সেনা নিহত হয়েছে। ইসরাইলের সাম্প্রতিক ইতিহাসে একদিন এতো সেনার প্রাণহানির ঘটনা নেই।

তবে হামাস দিনের শুরুতেই জানায় যে তাদের আক্রমণে ১৬ ইসরাইলি সেনা নিহত হয়েছে। ইসরাইল প্রথমে দুজন সেনা নিহত হওয়ার কথা স্বীকার করলেও দিন শেষে স্বীকার করে যে তাদের ১৩ সেনা নিহত হয়েছে।

গত ১৩ দিনের হামলায় অন্তত ৩০০০ ফিলিস্তিনি আহত হয়েছে।

এদিকে ইসরাইল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতির জন্য মিসরীয় প্রস্তাব হামাস নাকচ করে দেয়ার পর এবার হামাস বান্ধব এবং যুক্তরাষ্ট্রের ঘনিষ্ঠ মিত্র কাতার নতুন করে যুদ্ধবিরতির উদ্যোগ নিয়েছে।

হামাসের মুখপাত্র সামি আবু জুহরি ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড থেকে রয়টার্সকে বলেন, ‘সাধারণভাবে ইসরাইলকে সব ধরনের আগ্রাসন ও আক্রমণ অবশ্যই বন্ধ করতে হবে। গাজা থেকে অবরোধ তুলে নিতে হবে।

ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তা নাসের তাতার জানিয়েছেন, রোববার নিহতদের মধ্যে প্রবীণ এক হামাস নেতার ছেলে, ছেলের বউ এবং নিহত দম্পতির দুই সন্তান রয়েছে। সেই সঙ্গে নিহত হয়েছেন একজন ফিলিস্তিনি ক্যামেরাম্যান ও একজন স্বাস্থ্যকর্মী।

ইহুদিবাদী আগ্রাসনের প্রতিবাদে গাজা নিয়ন্ত্রণকারী হামাস ইসরাইলে ১৭০০ রকেট ছুড়েছে।

অব্যাহত প্রাণহানির ঘটনায় জাতিসংঘ মহাসচিব বান-কি মুন ফিলিস্তিন ও ইসরাইলের মধ্যে মধ্যস্থতার ওপর জোর দিয়েছেন। তিনি দুর্গতদের ত্রাণ সাহায্য এবং সংঘাতের অবসান ঘটাতে দ্রুত একটি পথ বের করার আহ্বান জানিয়েছেন।
টানা ১০ দিন ধরে বিমান হামলা চালানোর পর বৃহস্পতিবার রাতে স্থল অভিযান শুরু করে ইসরাইলি সেনারা।

ইসরাইলি আগ্রাসন থেকে জীবন বাঁচাতে জাতিসংঘের আশ্রয় শিবিরে আশ্রয় নিয়েছে প্রায় ৬৩,০০০ ফিলিস্তিনি।


মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বাতিলের সম্ভাব্য পরিণতি!!!

সংবিধান থেকে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম তুলে দিলে আমরা যে সকল সমস্যার সম্মুখীন হতে পারি ➖➖➖➖➖➖➖➖➖➖ শুধুমাত্র লাইক, কমেন্ট, শেয়ার, কপিই নয়! সম্ভব হলে লিফলেট ছেপে লেখাটি ছড়িয়ে দিন!! : রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বাতিলে সমস্যা কোথায়? প্রশ্নবানে জর্জরিত হচ্ছি, সমস্যা কোথায়? প্রশ্ন আসছে সব শ্রেণী থেকে। প্রথম কথা হচ্ছে, কেউ আমার হাত কাটলেও ব্যথা পাই, আঙুল কাটলেও। কারণ হাত-পা সবই আমার! ইসলামী বিধান প্রতিষ্ঠিত নাই বলে সংবিধান থেকেও মুছে দিতে হবে? হাত কাটা রুখতে পারি নি বলে পা কাটারও সুযোগ দেবো? কারো শরীরে অনুভূতি না থাকলে সেটা তার ব্যাপার, আমি কালিমা পড়েছি, দ্বীনের যে কোন বিষয়ে আঘাত আসলে আমার কলিজায় লাগে! এবার আসল কথায় ফিরে যাই; ক. ইসলামী শরী’আহ হচ্ছে কোন বিধান পালন না করলে আপনি গুনাহগার, বেঈমান নন, কিন্তু অস্বীকার করলে বেঈমান। সংবিধান থেকে সরিয়ে দেওয়ার অর্থ হচ্ছে আপনি অস্বীকার করছেন! খ. বুদ্ধিমানদের কাজ হচ্ছে ইতিহাস থেকে শিক্ষা নেওয়া, আপনি কামাল আতার্তুকের তুরস্কের ইতিহাস পড়ুন, বুঝবেন কেন আমাদের এতো মাথাব্যথা! গ. প্রধানমন্ত্রী তনয় ও আইটি উপদেষ্টা জয় সাহেবের সে বক্তব্...

‘হুদ হুদ’ প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত

ঘূর্ণিঝড় ‘ হুদ হুদ ’ উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘণীভূত হয়ে অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে। এটি অবস্থান করছে পশ্চিম মধ্যবঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন পূর্ব মধ্যবঙ্গোপসাগর এলাকায়। ·          অগ্রসর হচ্ছে ‘ হুদ হুদ ’, সাগরে সতর্কতা সংকেত ·            ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে সাগর উত্তাল থাকায় চট্টগ্রাম , কক্সবাজার , মংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে তিন নম্বর স্থানীয় সর্তকতা সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। আবহাওয়া অধিদপ্তর শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টার বুলেটিনে এ তথ্য দেওয়া হয়। এতে বলা হয় , ঘূর্ণিঝড়টি সন্ধ্যা ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৯৭৫ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে , কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৯১০ কিমি দক্ষিণপশ্চিমে , মংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৮৮০ কিমি দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্র বন্দর থেকে ৮৭০ কিমি দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছে। এটি আরও ঘণীভূত হয়ে পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে। এ সময় ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৭৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১২০ কিমি থেকে ...

ভন্ড-বেদাতীর গোমরফাক ১ম পর্ব

রাসূল সা. হাজির নাজির কিনা ? প্রশ্ন: আস সালামু আলাইকুম , আশা করি ভাল আছেন , আমার প্রশ্ন , নবী করিম সা. হজির ও নাজির কি না ? যারা পক্ষে বলে তাদের দলিল হলো সূরা আহযাবের একটি আয়াতের শাহদান শব্দ। এই শব্দের ব্যখ্যা কি ? মেহেরবানী করে দলিল সহ উত্তর দিবেন।   উত্তর: হাজির ও নাজির শব্দদুটো আরবী। হাজির অর্থ বিদ্যমান বা উপস্থিত। আর নাজির অর্থ দ্রষ্টা। যখন এ শব্দ দুটিকে এক সাথে মিলিয়ে   ব্যবহার করা হয় তখন অর্থ হয় ঐ স্বত্তা যার অস্তিত্ব এক স্থানে সীমাবদ্ধ নয় , বরং তার অস্তিত্ব একই সময়ে গোটা দুনিয়াকে বেষ্টন করে রাখে এবং দুনিয়ার প্রত্যেকটি জিনিসের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত অবস্থা তার দৃষ্টির সামনে থাকে। পূর্বোক্ত ব্যখ্যা অনুসারে হাজির নাজির এটি একমাত্র আল্লাহ তায়ার সিফাত এবং তার জন্যই প্রযোজ্য , এমনকি নবী সা. বা কোন ওলী সব জায়গায় হাজির নাজির হতে পারে না। আল্লাহ তায়ালার সিফাতের সঙ্গে বান্দাকে মিলানো কুফর , শিরক ও চরম ভ্রষ্টতা। বিদাতীদের আক্বীদা মতে শুধু হুজুরে পাক সা. নন , বরং বুজুরগানে দ্বীনও পৃথিবীর সবকিছুকে হাতের তালুর মত দেখতে পান। তারা দূরের ও কাছের আওয়াজ শুনতে পান এবং হাজার হাজার মা...