সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

আল্লাহ্‌ ! হামাসের হিম্মত আরও বাড়িয়ে দাও

গাজায় ইসরাইলের চরম বিপর্যয়, ৪২ সেনা খতম




ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় চরম বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে ইহুদিবাদী ইসরাইল। পৃথিবীর সর্বাধুনিক সমরাস্ত্র সজ্জিত ও উচ্চ প্রশিক্ষিত ইসরাইলি বাহিনী গাজা নিয়ন্ত্রণকারী ইসলামপন্থী হামাসের হাতে চরম মার খাচ্ছে।

ইহুদিবাদী ইসরাইলের সামরিক বাহিনী দাবি করেছে, গাজায় হামলা শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত তাদের ২৭ সেনা নিহত হয়েছে। সোমবার ইসরাইলের সেদরোত শহরে হামাস যোদ্ধাদের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে আরও চার ইসরাইলি সেনা নিহত হয়েছে বলে স্বীকার করেছে।
সর্বশেষ ২০০৯ সালে গাজায় ইসরাইলি স্থল অভিযানে যত ইসরাইলি সৈন্য মারা গিয়েছিল এবার এরই মধ্যে মারা গেছে তার দ্বিগুণ সেনা।

এদিকে হামাস বলেছে, সোমবার তাদের হাতে নতুন করে ইসরাইলের ১০ সেনা খতমহয়েছে। গাজার পূর্বাঞ্চলে এক আকস্মিক হামলায় এসব সেনা নিহত হয়। সে হিসেবে ইসরাইলের অন্তত ৪২ জন সেনা নিহত হয়েছে। আহত সেনার সংখ্যা ১০০ ছাড়িয়ে গেছে।

ইসরাইল এবার হামাস যোদ্ধাদের হত্যায় খুব বড় ধরনের সাফল্যও দাবি করেনি। শুধু সোমবার ক্ষীণকণ্ঠে দাবি করে যে তারা ১০ জন ফিলিস্তিনি যোদ্ধাকে হত্যা করেছে।
এদিকে ইসরাইলি সেনাবাহিনী স্বীকার করেছে যে গাজায় ইসরাইলের সর্বাত্মক স্থল, আকাশ ও নৌ-হামলার মধ্যেও সোমবার ১১৬টি রকেট ছুড়েছে হামাস। তার ১৭টি ভূপাতিত করা হয়েছে এবং বাকিগুলো বৃহত্তর তেল আবিবে আঘাত হেনেছে।
তবে হামাসের হাতে তাদের কত সেনা আহত হয়েছে তা পরিষ্কার করে বলেনি।

ইরানের প্রেস টিভির ফুটেজে দেখা গেছে, হেলিকপ্টার থেকে ইহুদিবাদী সেনারা সামরিক বাহিনীর হতাহত সদস্যদেরকে নামিয়ে নিচ্ছে। এছাড়া ইসরাইলি পতাকায় মোড়া বেশ কয়েকটি লাশর কফিনও দেখা গেছে।

গাজায় যুদ্ধবিরতির বিষয়ে পশ্চিমা ও আন্তর্জাতিক তোড়জোড় দেখে ধারণা করা হচ্ছে যে গাজায় ইসরাইলি সেনারা বড় ধরনের বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে।



মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বাতিলের সম্ভাব্য পরিণতি!!!

সংবিধান থেকে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম তুলে দিলে আমরা যে সকল সমস্যার সম্মুখীন হতে পারি ➖➖➖➖➖➖➖➖➖➖ শুধুমাত্র লাইক, কমেন্ট, শেয়ার, কপিই নয়! সম্ভব হলে লিফলেট ছেপে লেখাটি ছড়িয়ে দিন!! : রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বাতিলে সমস্যা কোথায়? প্রশ্নবানে জর্জরিত হচ্ছি, সমস্যা কোথায়? প্রশ্ন আসছে সব শ্রেণী থেকে। প্রথম কথা হচ্ছে, কেউ আমার হাত কাটলেও ব্যথা পাই, আঙুল কাটলেও। কারণ হাত-পা সবই আমার! ইসলামী বিধান প্রতিষ্ঠিত নাই বলে সংবিধান থেকেও মুছে দিতে হবে? হাত কাটা রুখতে পারি নি বলে পা কাটারও সুযোগ দেবো? কারো শরীরে অনুভূতি না থাকলে সেটা তার ব্যাপার, আমি কালিমা পড়েছি, দ্বীনের যে কোন বিষয়ে আঘাত আসলে আমার কলিজায় লাগে! এবার আসল কথায় ফিরে যাই; ক. ইসলামী শরী’আহ হচ্ছে কোন বিধান পালন না করলে আপনি গুনাহগার, বেঈমান নন, কিন্তু অস্বীকার করলে বেঈমান। সংবিধান থেকে সরিয়ে দেওয়ার অর্থ হচ্ছে আপনি অস্বীকার করছেন! খ. বুদ্ধিমানদের কাজ হচ্ছে ইতিহাস থেকে শিক্ষা নেওয়া, আপনি কামাল আতার্তুকের তুরস্কের ইতিহাস পড়ুন, বুঝবেন কেন আমাদের এতো মাথাব্যথা! গ. প্রধানমন্ত্রী তনয় ও আইটি উপদেষ্টা জয় সাহেবের সে বক্তব্...

‘হুদ হুদ’ প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত

ঘূর্ণিঝড় ‘ হুদ হুদ ’ উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘণীভূত হয়ে অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে। এটি অবস্থান করছে পশ্চিম মধ্যবঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন পূর্ব মধ্যবঙ্গোপসাগর এলাকায়। ·          অগ্রসর হচ্ছে ‘ হুদ হুদ ’, সাগরে সতর্কতা সংকেত ·            ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে সাগর উত্তাল থাকায় চট্টগ্রাম , কক্সবাজার , মংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে তিন নম্বর স্থানীয় সর্তকতা সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। আবহাওয়া অধিদপ্তর শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টার বুলেটিনে এ তথ্য দেওয়া হয়। এতে বলা হয় , ঘূর্ণিঝড়টি সন্ধ্যা ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৯৭৫ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে , কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৯১০ কিমি দক্ষিণপশ্চিমে , মংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৮৮০ কিমি দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্র বন্দর থেকে ৮৭০ কিমি দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছে। এটি আরও ঘণীভূত হয়ে পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে। এ সময় ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৭৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১২০ কিমি থেকে ...

ভন্ড-বেদাতীর গোমরফাক ১ম পর্ব

রাসূল সা. হাজির নাজির কিনা ? প্রশ্ন: আস সালামু আলাইকুম , আশা করি ভাল আছেন , আমার প্রশ্ন , নবী করিম সা. হজির ও নাজির কি না ? যারা পক্ষে বলে তাদের দলিল হলো সূরা আহযাবের একটি আয়াতের শাহদান শব্দ। এই শব্দের ব্যখ্যা কি ? মেহেরবানী করে দলিল সহ উত্তর দিবেন।   উত্তর: হাজির ও নাজির শব্দদুটো আরবী। হাজির অর্থ বিদ্যমান বা উপস্থিত। আর নাজির অর্থ দ্রষ্টা। যখন এ শব্দ দুটিকে এক সাথে মিলিয়ে   ব্যবহার করা হয় তখন অর্থ হয় ঐ স্বত্তা যার অস্তিত্ব এক স্থানে সীমাবদ্ধ নয় , বরং তার অস্তিত্ব একই সময়ে গোটা দুনিয়াকে বেষ্টন করে রাখে এবং দুনিয়ার প্রত্যেকটি জিনিসের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত অবস্থা তার দৃষ্টির সামনে থাকে। পূর্বোক্ত ব্যখ্যা অনুসারে হাজির নাজির এটি একমাত্র আল্লাহ তায়ার সিফাত এবং তার জন্যই প্রযোজ্য , এমনকি নবী সা. বা কোন ওলী সব জায়গায় হাজির নাজির হতে পারে না। আল্লাহ তায়ালার সিফাতের সঙ্গে বান্দাকে মিলানো কুফর , শিরক ও চরম ভ্রষ্টতা। বিদাতীদের আক্বীদা মতে শুধু হুজুরে পাক সা. নন , বরং বুজুরগানে দ্বীনও পৃথিবীর সবকিছুকে হাতের তালুর মত দেখতে পান। তারা দূরের ও কাছের আওয়াজ শুনতে পান এবং হাজার হাজার মা...