সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

মুসলমানের কি হল ?

অসহায় ফিলিস্তিনিদের পাশে নেই কোনো আরব রাষ্ট্র

তিন বছর আগে ফিলিস্তিনিদের মধ্যে একটা আশা ছিল যে আরব জাহানে ক্রমবিকাশমান গণতান্ত্রিক আন্দোলনের ফলে তারা হয়তো আরব দেশগুলোর সমর্থন আদায় করতে পারবে।

এরপর দেশটিতে হামাস ও ফাতাহ একটা ঐকমত্যের সরকার গঠন করে এবং এই সরকার জনগণের অধিকার ও দাবিগুলোর ব্যাপারে আরো বেশি দায়িত্বশীল। তাই ফিলিস্তিনি নেতারা আশা করেছিল যে তারা এবার আরব নেতাদের সমর্থন পাবে।

কিন্তু ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরাইলের সামপ্রতিক বিমান হামলা ও নির্বিচার হত্যাযজ্ঞ তাদের মন একটুও টলাতে পারেনি। বরং এর বিপরীতটাই ঘটছে। কার্যত আরব দেশগুলোর সরকার ইসরাইলের সামরিক অভিযানকে সমর্থন দিচ্ছে।

ফিলিস্তিনের সমর্থকদের মতে ইসরাইলের অবৈধ বিমান হামলা আর নির্বিচার হত্যাযজ্ঞে আরব দেশগুলোর সরকারের প্রতিক্রিয়া বেশ অসংলগ্ন এবং মোটেই আশানুরূপ নয়।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে গাজায় ইসরাইলি হত্যাযজ্ঞের নিন্দা করে ব্যাপক বিক্ষোভ চলছে। কিন্তু আরব দেশগুলোর সরকার এ ব্যাপারে একেবারেই উদাসীন।

মুনদার মুয়াম্মার নামে একজন তিউনিশীয় বিক্ষোভকারী যিনি তার দেশের রাজধানীতে ফিলিস্তিনের সমর্থনে মিছিলে যোগ দেন তিনি অভিযোগ করে বলেন, কোনো আরব দেশই ফিলিস্তিনকে সমর্থন দিচ্ছে না।

দিয়ানা বুতু নামে একজন ফিলিস্তিনি আইনজীবী এবং বিশ্লেষক বলেন, গাজায় অন্য সব আগ্রাসন ও আক্রমণের বেলায় কয়েকটা সরকার ছিল যারা প্রতিবাদ করত যে ইসরাইল যা করছে, যেভাবে করছে তা বেআইনি-অবৈধ এবং ফিলিস্তিনিদের প্রতি কিছু সমর্থন দিত। কিন্তু এবার সে রকম কিছু ঘটছে না। সবাই চুপচাপ বসে আছে।

আবু তারেক সাদেক নামে একজন ফিলিস্তিনি যিনি বৈরুতের শাতিলা শরণার্থী শিবিরে থাকেন। তিনি বলেন, মনে হচ্ছে ফিলিস্তিনিরা পিছু হটছে। আগের আমলের সরকারগুলো ফিলিস্তিনের ব্যাপারে কমপক্ষে কিছু কথা বলত, যদিও তারা মিথ্যা বলত। কিন্তু আজ আমরা তাদের কাছে অপাঙক্তেয়। যেখানে আমরা ১ নম্বর আলোচ্য বিষয় হওয়ার কথা, সেখানে আজ আমরা ২৪ নম্বরে।

মারওয়া বেটলিলি নামে তিউনিশিয়ার একজন ছাত্রী শুক্রবার রাজধানী তিউনিসে এক ইসরাইল বিরোধী বিক্ষোভ র্যালিতে অংশ নিয়ে বলেন, আরব বসন্ত শুরু হয়েছে এই তিউনিশিয়ায়। আমরাই প্রথম বিপ্লব করেছি। আর আমাদেরকেই প্রথম অন্যায়ের নিন্দা করতে হবে এবং স্বাধীনতা ও মুক্তির ব্যাপারে অনুপ্রেরণা দিতে হবে।

বামপন্থী ইসরাইলি পত্রিকা হারেেজর একজন লেখক আনসেল পেফার টুইটারে লিখেছেন, এটা অবিশ্বাস্য যে ইসরাইল যখন গাজা উপত্যকা এবং সমগ্র আরব রাষ্ট্রের ওপর খবরদারি করছে, তখন মিসর তাদের সমালোচনা করে একটি কথাও বলছে না। শুধু হামাসের ওপর দোষারোপ করছে।

ফিলিস্তিনি-মিসরীয় মানবাধিকার কর্মী এবং সংগঠক রামি সাথ বলেন, মিসরের সরকার আগুন নিয়ে খেলছে। তারা গাজা নিকটবর্তী মিসরীয় সীমান্ত বন্ধ করে দিয়েছে যাতে গাজাবাসীর জন্য কোনো সাহায্য ও ত্রাণসামগ্রী না আসতে পারে। এটা শুধু অমানবিকই নয়; বরং সংকীর্ণ মানসিকতার পরিচয়।


মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

ভন্ড পীরের গোমর ফাক-২য় পর্ব

মাজারে সিজদা করা বৈধ কি ??? জিজ্ঞাসা : এক. ফেরেস্তারা হযরত আদমকে যেভাবে সম্মানপূর্বক সিজদা করেছিল সেভাবে বর্তমান যামানায় ওলী-আউলিয়াদের মাজারে সিজদা করা বা মাথা ঝুকানো জায়েজ কি না? জায়েজ না হলে প্রমাণ কী? দুই. সুন্নত তরিকায় কবর জিয়ারতের পদ্ধতি কী? বিস্তারিত জানালে কৃতজ্ঞ থাকব। জবাব : এক. ইবাদতের উদ্দেশ্যে আল্লাহ ছাড়া কাউকে সেজদা করা বা মাথা নোয়ানো কোনো কালেই বৈ ধ ছিল না। তবে সম্মান জ্ঞাপনার্থে সেজদা করা মাথা নোয়ানো পূর্ববর্তী যুগে বৈধ ছিল। কিন্তু ইসলাম ধর্মে শিরকের গন্ধ পর্যন্ত মিটিয়ে খালেস তাওহিদ প্রতিষ্ঠার্থে সম্মান সূচক সেজদা ও মাথা নোয়ানোও হারাম করে দেয়া হয়েছে। তাই ইসলাম ধর্মে কোনো ব্যাখাতেই ওলী-আউলিয়াগণের মাজারে-দরবারে সেজদা করা বা মাথা ঝুকানোর অবকাশ নেই। ফেরেস্তাগণ কর্তৃক স্বয়ং আল্লাহ পাকের হুকুমে আদম আ. এর প্রতি সম্মান প্রকাশার্থে সেজদা করার বিষয়টি আসমানী জগতের সাথে সম্পৃক্ত। এটি উর্দ্ধ জগতের বৈশিষ্ট। তার সাথে দুনিয়ার জগতের বিধি বিধান তুলনীয় নয়। সুতরাং এ দ্বারাও বিভ্রান্ত হওয়া যাবে না। দুই. কবর জিয়ারতের ইচ্ছা হলে মুস্তাহাব হলো প্রথমে দুই ...

ভন্ড-বেদাতীর গোমরফাক ১ম পর্ব

রাসূল সা. হাজির নাজির কিনা ? প্রশ্ন: আস সালামু আলাইকুম , আশা করি ভাল আছেন , আমার প্রশ্ন , নবী করিম সা. হজির ও নাজির কি না ? যারা পক্ষে বলে তাদের দলিল হলো সূরা আহযাবের একটি আয়াতের শাহদান শব্দ। এই শব্দের ব্যখ্যা কি ? মেহেরবানী করে দলিল সহ উত্তর দিবেন।   উত্তর: হাজির ও নাজির শব্দদুটো আরবী। হাজির অর্থ বিদ্যমান বা উপস্থিত। আর নাজির অর্থ দ্রষ্টা। যখন এ শব্দ দুটিকে এক সাথে মিলিয়ে   ব্যবহার করা হয় তখন অর্থ হয় ঐ স্বত্তা যার অস্তিত্ব এক স্থানে সীমাবদ্ধ নয় , বরং তার অস্তিত্ব একই সময়ে গোটা দুনিয়াকে বেষ্টন করে রাখে এবং দুনিয়ার প্রত্যেকটি জিনিসের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত অবস্থা তার দৃষ্টির সামনে থাকে। পূর্বোক্ত ব্যখ্যা অনুসারে হাজির নাজির এটি একমাত্র আল্লাহ তায়ার সিফাত এবং তার জন্যই প্রযোজ্য , এমনকি নবী সা. বা কোন ওলী সব জায়গায় হাজির নাজির হতে পারে না। আল্লাহ তায়ালার সিফাতের সঙ্গে বান্দাকে মিলানো কুফর , শিরক ও চরম ভ্রষ্টতা। বিদাতীদের আক্বীদা মতে শুধু হুজুরে পাক সা. নন , বরং বুজুরগানে দ্বীনও পৃথিবীর সবকিছুকে হাতের তালুর মত দেখতে পান। তারা দূরের ও কাছের আওয়াজ শুনতে পান এবং হাজার হাজার মা...

রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বাতিলের সম্ভাব্য পরিণতি!!!

সংবিধান থেকে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম তুলে দিলে আমরা যে সকল সমস্যার সম্মুখীন হতে পারি ➖➖➖➖➖➖➖➖➖➖ শুধুমাত্র লাইক, কমেন্ট, শেয়ার, কপিই নয়! সম্ভব হলে লিফলেট ছেপে লেখাটি ছড়িয়ে দিন!! : রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বাতিলে সমস্যা কোথায়? প্রশ্নবানে জর্জরিত হচ্ছি, সমস্যা কোথায়? প্রশ্ন আসছে সব শ্রেণী থেকে। প্রথম কথা হচ্ছে, কেউ আমার হাত কাটলেও ব্যথা পাই, আঙুল কাটলেও। কারণ হাত-পা সবই আমার! ইসলামী বিধান প্রতিষ্ঠিত নাই বলে সংবিধান থেকেও মুছে দিতে হবে? হাত কাটা রুখতে পারি নি বলে পা কাটারও সুযোগ দেবো? কারো শরীরে অনুভূতি না থাকলে সেটা তার ব্যাপার, আমি কালিমা পড়েছি, দ্বীনের যে কোন বিষয়ে আঘাত আসলে আমার কলিজায় লাগে! এবার আসল কথায় ফিরে যাই; ক. ইসলামী শরী’আহ হচ্ছে কোন বিধান পালন না করলে আপনি গুনাহগার, বেঈমান নন, কিন্তু অস্বীকার করলে বেঈমান। সংবিধান থেকে সরিয়ে দেওয়ার অর্থ হচ্ছে আপনি অস্বীকার করছেন! খ. বুদ্ধিমানদের কাজ হচ্ছে ইতিহাস থেকে শিক্ষা নেওয়া, আপনি কামাল আতার্তুকের তুরস্কের ইতিহাস পড়ুন, বুঝবেন কেন আমাদের এতো মাথাব্যথা! গ. প্রধানমন্ত্রী তনয় ও আইটি উপদেষ্টা জয় সাহেবের সে বক্তব্...