রমজানের সামাজিক শিক্ষা
আল্লাহর নিকট ওই ব্যক্তিই বেশি সম্মানিত, যিনি বেশি আল্লাহভীরু। মূলত আল্লাহর ভয়ে আমরা সিয়াম সাধনা করি। আমরা অভুক্ত ব্যক্তির না খেয়ে থাকার করুণ অবস্থাটি উপলব্ধি করতে পারি। এটিও রমজানের একটি মৌলিক সামাজিক শিক্ষা।
জীবনের সকল পাপ মোচনের সময় পবিত্র রমজান মাস। পাপাচারে ভরপুর আমাদের এই জীবনকে পাপমুক্ত করতে রমজান এনে দিয়েছে এক অপূর্ব সুযোগ। প্রতিটি নফল কাজে ফরজের সমান সওয়াব, প্রতিটি ফরজে ৭০টি ফরজের সমান সওয়াব, হাজার মাসের ইবাদত বন্দেগীর সওয়াব এক রাত্রে (লাইলাতুল কদরে), শয়তানকে বন্দি করে রাখার ফলে ভালো কাজের প্রতিযোগিতা করার চমৎকার সুযোগ, রোজাদারকে ইফতার করালে রোজার সমান সওয়াব লাভ প্রভৃতি যেন পরওয়ারদিগারের পক্ষ থেকে এক রহমতের স্রোতধারা । আমরা সেই সুযোগটা কেন নিব না ? মুসলিম শিক্ষকগণ এই একমাসে শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া করানোর পাশাপাশি নামাজ-রোজার নিয়ম-কানুন, দোয়া-দরূদ, প্রয়োজনীয় মাসআলা-মাসায়েল শিক্ষা দিয়ে লাভ করতে পারেন অফুরন্ত সওয়াব। তেমনি বিভিন্ন পেশায় নিয়োজিত ব্যক্তিবর্গ আল্লাহভীতি অর্জনের পথ খুঁজে নিয়ে সৎকর্মগুলো সম্পাদন করতে পারেন। এই মাসে যেন আমরা ব্যক্তিজীবনে আল্লাহভীতি অর্জনে সফল হই। তাহলে সামাজিক জীবন হয়ে উঠবে অনেক সুন্দর। সেই সুন্দর একটি স্থিতিশীল সমাজ ও সুন্দর একটি বাংলাদেশ গড়ে তোলার স্বপ্ন দ্রষ্টাগণ রমজানকে কাজে লাগাতে পারেন মোক্ষম সুযোগ হিসেবে।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন