সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

ঠ্যালার নাম বাবাজী !!!

লতিফ সিদ্দিকী পাগলের বংশধর : মন্তব্য হাসিনার


মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও পবিত্র হজ্ব এবং তাবলীগ জামায়াত সম্পর্কে কটূক্তি  করায় নিজ দলের সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য লতিফ সিদ্দিকীকে পাগলের বংশধর বলে মন্তব্য করেছেনপ্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।
হঠাত্ লতিফ সিদ্দিকীর এ বক্তব্য নতুন ষড়যন্ত্রের অংশ কি না তা নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করেন তিনি। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও স্থানীয় সরকারমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলামসহ দলের কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতা গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গেলে এ মন্তব্য করেন হাসিনা। সাক্ষাতে উপস্থিত থাকা একাধিক নেতা এ তথ্য জানান।
এর আগে সকালে সিলেট বিমানবন্দরে দলীয় নেতাদের সঙ্গে আলাপকালে লতিফ সিদ্দিকীকে উদ্দেশ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ পরিবারের সবাই নিয়ন্ত্রণহীন।
আওয়ামী লীগের এক নেতা জানান, রাতে শেখ হাসিনা বলেন, সব কিছুই যখন ঠিকঠাকভাবে চলছিল তখনই লতিফ সিদ্দিকী কেন এ ধরনের মন্তব্য করলেন তা খুঁজে বের করা উচিত। এর সঙ্গে নানা যোগসূত্র থাকতে পারে বলেও আশঙ্কা করেন প্রধানমন্ত্রী।
দলীয় ওই সূত্রে জানা যায়, শেখ হাসিনা বৈঠকে আশরাফকে শিগগিরই দলের কার্যনির্বাহী সংসদের সভা ডাকার নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি বলেন, লতিফ সিদ্দিকীর ব্যাপারে সদ্ধিান্ত নেওয়াই আছে। কার্যনির্বাহী সংসদের সভার মধ্য দিয়ে সবার মতামতের মাধ্যমে তাঁর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা বাস্তবায়ন করা হবে।
সূত্র মতে, লতিফ সিদ্দিকীর বক্তব্যের পর উদ্ভূত পরিস্থিতি সম্পর্কে সৈয়দ আশরাফ দলীয় সভাপতিকে অবহিত করেন।

সূত্র আরো জানায়, ঈদের পরে ১০ বা ১১ অক্টোবর আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের সভা হতে পারে।
জানা যায়, শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষতে সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের সঙ্গে ছিলেন জাহাঙ্গীর কবির নানক, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, ড. হাছান মাহমুদ, অসীম কুমার উকিল, আফজাল হোসেন, পঙ্কজ দেবনাথ প্রমুখ।

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

ভন্ড পীরের গোমর ফাক-২য় পর্ব

মাজারে সিজদা করা বৈধ কি ??? জিজ্ঞাসা : এক. ফেরেস্তারা হযরত আদমকে যেভাবে সম্মানপূর্বক সিজদা করেছিল সেভাবে বর্তমান যামানায় ওলী-আউলিয়াদের মাজারে সিজদা করা বা মাথা ঝুকানো জায়েজ কি না? জায়েজ না হলে প্রমাণ কী? দুই. সুন্নত তরিকায় কবর জিয়ারতের পদ্ধতি কী? বিস্তারিত জানালে কৃতজ্ঞ থাকব। জবাব : এক. ইবাদতের উদ্দেশ্যে আল্লাহ ছাড়া কাউকে সেজদা করা বা মাথা নোয়ানো কোনো কালেই বৈ ধ ছিল না। তবে সম্মান জ্ঞাপনার্থে সেজদা করা মাথা নোয়ানো পূর্ববর্তী যুগে বৈধ ছিল। কিন্তু ইসলাম ধর্মে শিরকের গন্ধ পর্যন্ত মিটিয়ে খালেস তাওহিদ প্রতিষ্ঠার্থে সম্মান সূচক সেজদা ও মাথা নোয়ানোও হারাম করে দেয়া হয়েছে। তাই ইসলাম ধর্মে কোনো ব্যাখাতেই ওলী-আউলিয়াগণের মাজারে-দরবারে সেজদা করা বা মাথা ঝুকানোর অবকাশ নেই। ফেরেস্তাগণ কর্তৃক স্বয়ং আল্লাহ পাকের হুকুমে আদম আ. এর প্রতি সম্মান প্রকাশার্থে সেজদা করার বিষয়টি আসমানী জগতের সাথে সম্পৃক্ত। এটি উর্দ্ধ জগতের বৈশিষ্ট। তার সাথে দুনিয়ার জগতের বিধি বিধান তুলনীয় নয়। সুতরাং এ দ্বারাও বিভ্রান্ত হওয়া যাবে না। দুই. কবর জিয়ারতের ইচ্ছা হলে মুস্তাহাব হলো প্রথমে দুই ...

ভন্ড-বেদাতীর গোমরফাক ১ম পর্ব

রাসূল সা. হাজির নাজির কিনা ? প্রশ্ন: আস সালামু আলাইকুম , আশা করি ভাল আছেন , আমার প্রশ্ন , নবী করিম সা. হজির ও নাজির কি না ? যারা পক্ষে বলে তাদের দলিল হলো সূরা আহযাবের একটি আয়াতের শাহদান শব্দ। এই শব্দের ব্যখ্যা কি ? মেহেরবানী করে দলিল সহ উত্তর দিবেন।   উত্তর: হাজির ও নাজির শব্দদুটো আরবী। হাজির অর্থ বিদ্যমান বা উপস্থিত। আর নাজির অর্থ দ্রষ্টা। যখন এ শব্দ দুটিকে এক সাথে মিলিয়ে   ব্যবহার করা হয় তখন অর্থ হয় ঐ স্বত্তা যার অস্তিত্ব এক স্থানে সীমাবদ্ধ নয় , বরং তার অস্তিত্ব একই সময়ে গোটা দুনিয়াকে বেষ্টন করে রাখে এবং দুনিয়ার প্রত্যেকটি জিনিসের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত অবস্থা তার দৃষ্টির সামনে থাকে। পূর্বোক্ত ব্যখ্যা অনুসারে হাজির নাজির এটি একমাত্র আল্লাহ তায়ার সিফাত এবং তার জন্যই প্রযোজ্য , এমনকি নবী সা. বা কোন ওলী সব জায়গায় হাজির নাজির হতে পারে না। আল্লাহ তায়ালার সিফাতের সঙ্গে বান্দাকে মিলানো কুফর , শিরক ও চরম ভ্রষ্টতা। বিদাতীদের আক্বীদা মতে শুধু হুজুরে পাক সা. নন , বরং বুজুরগানে দ্বীনও পৃথিবীর সবকিছুকে হাতের তালুর মত দেখতে পান। তারা দূরের ও কাছের আওয়াজ শুনতে পান এবং হাজার হাজার মা...

রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বাতিলের সম্ভাব্য পরিণতি!!!

সংবিধান থেকে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম তুলে দিলে আমরা যে সকল সমস্যার সম্মুখীন হতে পারি ➖➖➖➖➖➖➖➖➖➖ শুধুমাত্র লাইক, কমেন্ট, শেয়ার, কপিই নয়! সম্ভব হলে লিফলেট ছেপে লেখাটি ছড়িয়ে দিন!! : রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বাতিলে সমস্যা কোথায়? প্রশ্নবানে জর্জরিত হচ্ছি, সমস্যা কোথায়? প্রশ্ন আসছে সব শ্রেণী থেকে। প্রথম কথা হচ্ছে, কেউ আমার হাত কাটলেও ব্যথা পাই, আঙুল কাটলেও। কারণ হাত-পা সবই আমার! ইসলামী বিধান প্রতিষ্ঠিত নাই বলে সংবিধান থেকেও মুছে দিতে হবে? হাত কাটা রুখতে পারি নি বলে পা কাটারও সুযোগ দেবো? কারো শরীরে অনুভূতি না থাকলে সেটা তার ব্যাপার, আমি কালিমা পড়েছি, দ্বীনের যে কোন বিষয়ে আঘাত আসলে আমার কলিজায় লাগে! এবার আসল কথায় ফিরে যাই; ক. ইসলামী শরী’আহ হচ্ছে কোন বিধান পালন না করলে আপনি গুনাহগার, বেঈমান নন, কিন্তু অস্বীকার করলে বেঈমান। সংবিধান থেকে সরিয়ে দেওয়ার অর্থ হচ্ছে আপনি অস্বীকার করছেন! খ. বুদ্ধিমানদের কাজ হচ্ছে ইতিহাস থেকে শিক্ষা নেওয়া, আপনি কামাল আতার্তুকের তুরস্কের ইতিহাস পড়ুন, বুঝবেন কেন আমাদের এতো মাথাব্যথা! গ. প্রধানমন্ত্রী তনয় ও আইটি উপদেষ্টা জয় সাহেবের সে বক্তব্...