সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

হিসনে হাসীন ও মুনাজাতে মকবুলের সাত মঞ্জিল

মনে পড়ে না, এই বিভাগে এই বিষয়ে ইতিপূর্বে লেখা হয়েছিল কি না। হিসনে হাসীনের বিষয়বস্তু হচ্ছে ওই দুআগুলো হাওয়ালাসহ একত্র করা, যা কুরআন-সুন্নাহ্য় উল্লেখিত হয়েছে। প্রথম চার অধ্যায়ে বিভিন্ন সময় ও পরিস্থিতি এবং বিভিন্ন আমল ও ইবাদতের দুআ সন্নিবেশিত হয়েছে। পঞ্চম অধ্যায়ে সাধারণ দুআসমূহ রয়েছে, যা বিশেষ কোনো সময় বা পরিস্থিতির সঙ্গে যুক্ত নয়। এই অধ্যায়ের দুআগুলো অযীফা আকারে পড়া যায়। তবে প্রথম চার অধ্যায়ের দুআ সেসব সময় ও পরিস্থিতিতেই পড়া উচিৎ যে সময় বা পরিসি'তিতে তা পড়ার কথা বলা হয়েছে। বিশেষ সময়ের দুআগুলো দিন রাতের সব সময় অযীফা আকারে পাঠ করা যুক্তিযুক্ত নয়। যেমন ধরুন, কেউ যদি সকাল বেলা পাঠ করেন, (আরবী) (এই সন্ধ্যায় আমরা ও গোটা বিশ্ব জগত আল্লাহর, প্রশংসা আল্লাহর ...)। তদ্রূপ কেউ যদি সন্ধ্যায় পাঠ করেন, (আরবী) (এই ভোরে আমরা ও গোটা বিশ্বজগত আল্লাহর, সকল প্রশংসা আল্লাহর ...)। তাহলে বিষয়টি কেমন হবে? তদ্রূপ সর্বদা অযীফা আকারে কি এই দুআ পাঠ করা যাবে- আরবী ===== (সকল প্রশংসা আল্লাহর যিনি আমাদেরকে আহার দিলেন, পানীয় দিলেন এবং যিনি আমাদেরকে মুসলিমদের অন্তর্ভুক্ত করেছেন।) তদ্রূপ আরবী ========== অথচ এখন তার নিদ্রার সময় নয়। কিংবা আরবী ====== অথচ এখন সে ইস্তিঞ্জা থেকে আসেনি। মোটকথা, ‘হিসনে হাসীনকিতাবকে বিভিন্ন মঞ্জিলে ভাগ করে অযীফার কিতাব বানানো যুক্তিযুক্ত নয়।মুনাজাতে মাকবূলকিতাবের অধিকাংশ দুআ হচ্ছে ব্যাপক অর্থবোধক দুআ, যা বিশেষ সময় বা পরিস্থিতির সঙ্গে যুক্ত নয়। এই দুআগুলো মিনতি ও মনোযোগের সঙ্গে যেকোনো সময় পাঠ করা যায়। সহজতার উদ্দেশ্যে আলহিযবুল আযম’-এর মতো এই দুআগুলিকেও সাত মঞ্জিলে ভাগ করা হয়েছে। যেন প্রতিদিন এক মনযিল করে পাঠ করা যায় এবং কিতাব ও সুন্নাহ্য় শেখানো অধিকাংশ জামে দুআ প্রার্থনায় এসে যায়। সাত মনযিলে বিভক্ত করার বিষয়টি মাসআলাগতভাবে মোটেই গুরুত্বপূর্ণ নয়, এটি পাঠ সহজ হওয়ার জন্য একটি বিন্যাসমাত্র। যে মনযিলে যে বারের নাম দেওয়া আছে সেদিনই তা পড়তে হবে তা-ও অপরিহার্য নয়। তদ্রূপ এটাও জরুরি নয় যে, একদিনে এক মনযিল পরিমাণই পড়তে হবে। সাত মনযিলে ভাগ করা এবং সপ্তাহের এক এক দিন এক এক মনযিল পাঠ করার কথা উল্লেখিত হওয়া এজন্য নয় যে, হাদীস শরীফে এই দুআগুলি এভাবে পাঠ করতে বলা হয়েছে। অতএব এই ধারণা করা যে, এই নিয়মের ব্যতিক্রম করার দ্বারা শরীয়তের কোনো হুকুম লঙ্ঘন হবে বা এই দুআগুলির বরকত ও ফযীলত হৃাস পাবে, ঠিক নয়। তবে একে নিছক একটি বিন্যাস মনে করে নিজের সুবিধার জন্য তা অনুসরণ করলে দোষের কিছু নেই। এই বিষয়টি পরিষ্কার করে দেওয়ার প্রয়োজন এজন্য হয়েছে যে, কারো কারো প্রশ্ন থেকে অনুমিত হয়, তারা এই বিন্যাসের অনুসরণকেও সম্ভবত একটি শরয়ী হুকুম মনে করেন এবং মাসআলার দিক থেকেও এর অন্যথা অনুচিত বলে মনে করেন। অথচ প্রকৃত বিষয় তা-ই যা উপরে লেখা হয়েছে।

আপনাদের সুবিধারথে মুনাজাতে মকবুলের পিডিএফ ফাইলের লিঙ্ক দেওয়া হলো।











মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

‘হুদ হুদ’ প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত

ঘূর্ণিঝড় ‘ হুদ হুদ ’ উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘণীভূত হয়ে অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে। এটি অবস্থান করছে পশ্চিম মধ্যবঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন পূর্ব মধ্যবঙ্গোপসাগর এলাকায়। ·          অগ্রসর হচ্ছে ‘ হুদ হুদ ’, সাগরে সতর্কতা সংকেত ·            ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে সাগর উত্তাল থাকায় চট্টগ্রাম , কক্সবাজার , মংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে তিন নম্বর স্থানীয় সর্তকতা সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। আবহাওয়া অধিদপ্তর শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টার বুলেটিনে এ তথ্য দেওয়া হয়। এতে বলা হয় , ঘূর্ণিঝড়টি সন্ধ্যা ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৯৭৫ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে , কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৯১০ কিমি দক্ষিণপশ্চিমে , মংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৮৮০ কিমি দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্র বন্দর থেকে ৮৭০ কিমি দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছে। এটি আরও ঘণীভূত হয়ে পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে। এ সময় ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৭৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১২০ কিমি থেকে ...

রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বাতিলের সম্ভাব্য পরিণতি!!!

সংবিধান থেকে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম তুলে দিলে আমরা যে সকল সমস্যার সম্মুখীন হতে পারি ➖➖➖➖➖➖➖➖➖➖ শুধুমাত্র লাইক, কমেন্ট, শেয়ার, কপিই নয়! সম্ভব হলে লিফলেট ছেপে লেখাটি ছড়িয়ে দিন!! : রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বাতিলে সমস্যা কোথায়? প্রশ্নবানে জর্জরিত হচ্ছি, সমস্যা কোথায়? প্রশ্ন আসছে সব শ্রেণী থেকে। প্রথম কথা হচ্ছে, কেউ আমার হাত কাটলেও ব্যথা পাই, আঙুল কাটলেও। কারণ হাত-পা সবই আমার! ইসলামী বিধান প্রতিষ্ঠিত নাই বলে সংবিধান থেকেও মুছে দিতে হবে? হাত কাটা রুখতে পারি নি বলে পা কাটারও সুযোগ দেবো? কারো শরীরে অনুভূতি না থাকলে সেটা তার ব্যাপার, আমি কালিমা পড়েছি, দ্বীনের যে কোন বিষয়ে আঘাত আসলে আমার কলিজায় লাগে! এবার আসল কথায় ফিরে যাই; ক. ইসলামী শরী’আহ হচ্ছে কোন বিধান পালন না করলে আপনি গুনাহগার, বেঈমান নন, কিন্তু অস্বীকার করলে বেঈমান। সংবিধান থেকে সরিয়ে দেওয়ার অর্থ হচ্ছে আপনি অস্বীকার করছেন! খ. বুদ্ধিমানদের কাজ হচ্ছে ইতিহাস থেকে শিক্ষা নেওয়া, আপনি কামাল আতার্তুকের তুরস্কের ইতিহাস পড়ুন, বুঝবেন কেন আমাদের এতো মাথাব্যথা! গ. প্রধানমন্ত্রী তনয় ও আইটি উপদেষ্টা জয় সাহেবের সে বক্তব্...
ইসরাইলি পণ্যকে হালাল বলা , মাজহাব মানা হারাম ও শিরক বলা সহ আরও আনেক লাগামহীন কথার নায়ক ইহুদীদের দালাল এই ইবলিস- কে একটু শিক্ষা দিয়ে আসুন । https://www.facebook.com/md.rohan.7359447?ft[ego_id]=100007949353950&ft[qid]=6035260132232542925&ft[mf_story_key]=627004182696301145&ft[ei]=&ft[fbfeed_location]=1&ft[insertion_position]=1&__md__=1