সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

ল্যাও ঠ্যালা


সিরিয়ায় মার্কিন হামলার বিরুদ্ধে রাশিয়ার হুঁশিয়ারি

 

সিরিয়ায় জঙ্গিদের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের বিমান হামলা আন্তর্জাতিক আইনের মারাত্মক লঙ্ঘন হবে বলে হুঁশিয়ার করেছে রাশিয়া।

 

রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র বলেছেন, জাতিসংঘের সমর্থন ছাড়া এটি হবে এক ধরনের আগ্রাসন।

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি আইএস জঙ্গিদের বিরুদ্ধে জোট গড়ার চেষ্টায় সৌদি আরবের নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে যাওয়ার সময় এ হুঁশিয়ারি এল।

প্রেসিডেন্ট ওবামা সিরিয়া এবং ইরাকে আইএস এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার হুমকি দিয়েছেন। আইএস সিরিয়া এবং ইরাকের বিশাল এলাকা দখল করে নিয়েছে।

ওবামা এক বক্তব্যে তার কৌশলের রূপরেখা দিয়ে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের জন্য হুমকি হয়ে ওঠা কোনো গ্রুপ স্বর্গরাজ্য পাবে না। তিনি আরো বলেন, ৪৭৫ জন মার্কিন কর্মকর্তাকে ইরাকে পাঠানো হবে। কিন্তু তারা যুদ্ধাভিযানে নিয়োজিত থাকবে না।

তিনি বলেন, আমরা আইএসকে পর্যদুস্ত করে দেব এবং তাদেরকে পুরোপুরি ধ্বংস করে দেব।
কিন্তু এক বিবৃতিতে এর কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের মিত্র দেশ রাশিয়া।

মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অ্যালেক্সান্ডার লুকাশেভিচ বলেছেন, সিরিয়ায় সরকারের আইনগত অনুমোদন না নিয়েই সেখানে আইএস এর বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের শসস্ত্র বাহিনীর হামলার সম্ভাব্যতা সম্পর্কে সরাসরি কথা বলেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট

জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের সিদ্ধান্ত ছাড়া এ পদক্ষেপ এক ধরনের আগ্রাসন এবং আন্তর্জাতিক আইনের বড় ধরনের লঙ্ঘন।

জাতীয় সম্প্রীতি মন্ত্রী আলি হায়দার বৃহস্পতিবার বলেছেন, সিরিয়া সরকারের অনুমতি ছাড়া সেখানে কোনোধরনের কোনোরকম ব্যবস্থা হামলা বলেই গণ্য হবে

গত মাসে সিরিয়া আইএস এর বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রকে সহায়তা করার প্রস্তাব দিয়েছিল। ইরাকে আইএস এর বিরুদ্ধে ১৫০ টি বিমান হামলা চালানোসহ আইএস এর বিরুদ্ধে ইরাকি ও কুর্দি বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে অস্ত্র সহায়তা দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র।

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বাতিলের সম্ভাব্য পরিণতি!!!

সংবিধান থেকে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম তুলে দিলে আমরা যে সকল সমস্যার সম্মুখীন হতে পারি ➖➖➖➖➖➖➖➖➖➖ শুধুমাত্র লাইক, কমেন্ট, শেয়ার, কপিই নয়! সম্ভব হলে লিফলেট ছেপে লেখাটি ছড়িয়ে দিন!! : রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বাতিলে সমস্যা কোথায়? প্রশ্নবানে জর্জরিত হচ্ছি, সমস্যা কোথায়? প্রশ্ন আসছে সব শ্রেণী থেকে। প্রথম কথা হচ্ছে, কেউ আমার হাত কাটলেও ব্যথা পাই, আঙুল কাটলেও। কারণ হাত-পা সবই আমার! ইসলামী বিধান প্রতিষ্ঠিত নাই বলে সংবিধান থেকেও মুছে দিতে হবে? হাত কাটা রুখতে পারি নি বলে পা কাটারও সুযোগ দেবো? কারো শরীরে অনুভূতি না থাকলে সেটা তার ব্যাপার, আমি কালিমা পড়েছি, দ্বীনের যে কোন বিষয়ে আঘাত আসলে আমার কলিজায় লাগে! এবার আসল কথায় ফিরে যাই; ক. ইসলামী শরী’আহ হচ্ছে কোন বিধান পালন না করলে আপনি গুনাহগার, বেঈমান নন, কিন্তু অস্বীকার করলে বেঈমান। সংবিধান থেকে সরিয়ে দেওয়ার অর্থ হচ্ছে আপনি অস্বীকার করছেন! খ. বুদ্ধিমানদের কাজ হচ্ছে ইতিহাস থেকে শিক্ষা নেওয়া, আপনি কামাল আতার্তুকের তুরস্কের ইতিহাস পড়ুন, বুঝবেন কেন আমাদের এতো মাথাব্যথা! গ. প্রধানমন্ত্রী তনয় ও আইটি উপদেষ্টা জয় সাহেবের সে বক্তব্...

‘হুদ হুদ’ প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত

ঘূর্ণিঝড় ‘ হুদ হুদ ’ উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘণীভূত হয়ে অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে। এটি অবস্থান করছে পশ্চিম মধ্যবঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন পূর্ব মধ্যবঙ্গোপসাগর এলাকায়। ·          অগ্রসর হচ্ছে ‘ হুদ হুদ ’, সাগরে সতর্কতা সংকেত ·            ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে সাগর উত্তাল থাকায় চট্টগ্রাম , কক্সবাজার , মংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে তিন নম্বর স্থানীয় সর্তকতা সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। আবহাওয়া অধিদপ্তর শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টার বুলেটিনে এ তথ্য দেওয়া হয়। এতে বলা হয় , ঘূর্ণিঝড়টি সন্ধ্যা ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৯৭৫ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে , কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৯১০ কিমি দক্ষিণপশ্চিমে , মংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৮৮০ কিমি দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্র বন্দর থেকে ৮৭০ কিমি দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছে। এটি আরও ঘণীভূত হয়ে পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে। এ সময় ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৭৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১২০ কিমি থেকে ...

ভন্ড-বেদাতীর গোমরফাক ১ম পর্ব

রাসূল সা. হাজির নাজির কিনা ? প্রশ্ন: আস সালামু আলাইকুম , আশা করি ভাল আছেন , আমার প্রশ্ন , নবী করিম সা. হজির ও নাজির কি না ? যারা পক্ষে বলে তাদের দলিল হলো সূরা আহযাবের একটি আয়াতের শাহদান শব্দ। এই শব্দের ব্যখ্যা কি ? মেহেরবানী করে দলিল সহ উত্তর দিবেন।   উত্তর: হাজির ও নাজির শব্দদুটো আরবী। হাজির অর্থ বিদ্যমান বা উপস্থিত। আর নাজির অর্থ দ্রষ্টা। যখন এ শব্দ দুটিকে এক সাথে মিলিয়ে   ব্যবহার করা হয় তখন অর্থ হয় ঐ স্বত্তা যার অস্তিত্ব এক স্থানে সীমাবদ্ধ নয় , বরং তার অস্তিত্ব একই সময়ে গোটা দুনিয়াকে বেষ্টন করে রাখে এবং দুনিয়ার প্রত্যেকটি জিনিসের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত অবস্থা তার দৃষ্টির সামনে থাকে। পূর্বোক্ত ব্যখ্যা অনুসারে হাজির নাজির এটি একমাত্র আল্লাহ তায়ার সিফাত এবং তার জন্যই প্রযোজ্য , এমনকি নবী সা. বা কোন ওলী সব জায়গায় হাজির নাজির হতে পারে না। আল্লাহ তায়ালার সিফাতের সঙ্গে বান্দাকে মিলানো কুফর , শিরক ও চরম ভ্রষ্টতা। বিদাতীদের আক্বীদা মতে শুধু হুজুরে পাক সা. নন , বরং বুজুরগানে দ্বীনও পৃথিবীর সবকিছুকে হাতের তালুর মত দেখতে পান। তারা দূরের ও কাছের আওয়াজ শুনতে পান এবং হাজার হাজার মা...