সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

মিথ্যা খবর


ব্রেকিং নিউজ

নবী (সাঃ) কবর স্হানান্তর মূলক খবর ঘন্য বিভ্রান্তিকর মিথ্যাচার


প্রবন্ধটি পড়া হলে, শেয়ার করতে ভুলবেন না


রহমান রহীম আল্লাহ্‌ তায়ালার নামে-


বিদ্যুতের বেগে মিডিয়া থেকে মিডিয়ায় প্রচার হয়ে চলেছে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কবর শরীফকে স্থানান্তরের পরিকল্পনার সংবাদ।

অনলাইন, ব্লগ, ম্যাগাজিন, দৈনিক পত্রিকা, ফেসবুক, টুইটার কোথাও বাদ নেই। আলোচনা ও সমালোচনার ঝড় বয়ে চলছে বিষয়টি নিয়ে। কিন্তু এর বাস্তবতা কি, শরীয়ত সম্মত কি না, আসলেই এরকম কোন পরিকল্পনা হয়েছিল কি না? তা নিয়ে কারো মাথা ব্যাথ্যা নেই। মিথ্যা সংবাদ, মিথ্যা কথা, মুখরোচক বিষয় মানুষের কাছে এত প্রিয় যে, দ্রুততম সময়ে তা প্রচার করতে না পারলে যেন তার পেটের ভাত হজমই হয় না।

সংবাদ মাধ্যমে খবরটির এত হিড়িক দেখে আমি আজ ফোন করেছিলাম, মসজিদে নববীর বাউণ্ডারী সংলগ্ন প্রতিষ্ঠিত কোর্টের অন্যতম সম্মানিত বিচারক শাইখ হাসান সাদ আল গামেদীর কাছে।

তিনি বললেন, একটি অপপ্রচার। একটি মিথ্যা সংবাদ। সৌদী সরকার এরকম কোন পরিকল্পনা কখনই নেয়া হয়নি। তাছাড়া এটা শরীয়তের সম্পূর্ণ খেলাফ। তাই এদেশের মুফতীদের পক্ষ থেকে এধরণের ফতোয়া প্রদানের প্রশ্নই উঠে না। তিনি বললেন, মসজিদে নববী দক্ষিণ তথা কিবলার দিকে সম্প্রসারণের পরিকল্পনা করা হয়েছিল। কিন্তু সেই পরিকল্পনা বাতিল করে দেয়া হয়েছে।

আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ এর ওফাতের পর সাহাবীগণ তাঁর দাফন কোথায় হবে তা নিয়ে ভিন্ন ভিন্ন মত প্রকাশ করছিলেন। তখন আবু বকর (রাঃ) যে কথা বলেছেন তা আমি ভুলি নি। তিনি বলেছেন, আল্লাহ তায়ালা নবীদেরকে এমন স্থানেই মৃত্যু দান করেন, যেখানে দাফন হওয়া ঐ নবী পছন্দ করতেন। অতএব তাঁর বিছানার স্থানেই তাঁকে দাফন কর। (তিরমিযী, হা/1018)

মিথ্যা সংবাদ বিশ্বাস ও প্রচার করা থেকে সকলেই সতর্ক থাকা দরকার।
অন্যথা আপনি এই হাদীছ অনুযায়ী মিথ্যাবাদী গণ্য হবেন। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, কোন ব্যক্তির মিথ্যাবাদী হওয়ার জন্য এতটুকুই যথেষ্ট যে, সে যা শুনবে (তা যাচাই-বাছাই না করে) তাই বলে বেড়াবে। (সহীহ মুসলিম)

শেইখ আব্দুল্লাহ আল-কাফি
বৃটিশ সাংবাদিক ইন্দ্র জোনসনেএর লেখা খবর এক বড় ধরনের মিথ্যারোপ ও ইসলামের বিরুদ্ধে গভীর ষঢ়যন্ত্র .সউদী আরবের আরবী পত্রিকায় এর জোরাল নিন্দা প্রতিবাদ করা হয়েছে এতে বলা হয়েছে মুসলমানদের মধ্যে অনৈক্য বিভ্রান্তি ও ফিতনা সৃষ্টির জন্যই তা প্রচার করা হয়েছে —– এ যমিন যত দিন থাকবে ততদিন তাঁর কবর অবশিষ্ট থাকবে বিস্তারিত পড়ার জন্য লিংক দেয়া হল: http://sabq.org/eekgde

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

ভন্ড পীরের গোমর ফাক-২য় পর্ব

মাজারে সিজদা করা বৈধ কি ??? জিজ্ঞাসা : এক. ফেরেস্তারা হযরত আদমকে যেভাবে সম্মানপূর্বক সিজদা করেছিল সেভাবে বর্তমান যামানায় ওলী-আউলিয়াদের মাজারে সিজদা করা বা মাথা ঝুকানো জায়েজ কি না? জায়েজ না হলে প্রমাণ কী? দুই. সুন্নত তরিকায় কবর জিয়ারতের পদ্ধতি কী? বিস্তারিত জানালে কৃতজ্ঞ থাকব। জবাব : এক. ইবাদতের উদ্দেশ্যে আল্লাহ ছাড়া কাউকে সেজদা করা বা মাথা নোয়ানো কোনো কালেই বৈ ধ ছিল না। তবে সম্মান জ্ঞাপনার্থে সেজদা করা মাথা নোয়ানো পূর্ববর্তী যুগে বৈধ ছিল। কিন্তু ইসলাম ধর্মে শিরকের গন্ধ পর্যন্ত মিটিয়ে খালেস তাওহিদ প্রতিষ্ঠার্থে সম্মান সূচক সেজদা ও মাথা নোয়ানোও হারাম করে দেয়া হয়েছে। তাই ইসলাম ধর্মে কোনো ব্যাখাতেই ওলী-আউলিয়াগণের মাজারে-দরবারে সেজদা করা বা মাথা ঝুকানোর অবকাশ নেই। ফেরেস্তাগণ কর্তৃক স্বয়ং আল্লাহ পাকের হুকুমে আদম আ. এর প্রতি সম্মান প্রকাশার্থে সেজদা করার বিষয়টি আসমানী জগতের সাথে সম্পৃক্ত। এটি উর্দ্ধ জগতের বৈশিষ্ট। তার সাথে দুনিয়ার জগতের বিধি বিধান তুলনীয় নয়। সুতরাং এ দ্বারাও বিভ্রান্ত হওয়া যাবে না। দুই. কবর জিয়ারতের ইচ্ছা হলে মুস্তাহাব হলো প্রথমে দুই ...

ভন্ড-বেদাতীর গোমরফাক ১ম পর্ব

রাসূল সা. হাজির নাজির কিনা ? প্রশ্ন: আস সালামু আলাইকুম , আশা করি ভাল আছেন , আমার প্রশ্ন , নবী করিম সা. হজির ও নাজির কি না ? যারা পক্ষে বলে তাদের দলিল হলো সূরা আহযাবের একটি আয়াতের শাহদান শব্দ। এই শব্দের ব্যখ্যা কি ? মেহেরবানী করে দলিল সহ উত্তর দিবেন।   উত্তর: হাজির ও নাজির শব্দদুটো আরবী। হাজির অর্থ বিদ্যমান বা উপস্থিত। আর নাজির অর্থ দ্রষ্টা। যখন এ শব্দ দুটিকে এক সাথে মিলিয়ে   ব্যবহার করা হয় তখন অর্থ হয় ঐ স্বত্তা যার অস্তিত্ব এক স্থানে সীমাবদ্ধ নয় , বরং তার অস্তিত্ব একই সময়ে গোটা দুনিয়াকে বেষ্টন করে রাখে এবং দুনিয়ার প্রত্যেকটি জিনিসের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত অবস্থা তার দৃষ্টির সামনে থাকে। পূর্বোক্ত ব্যখ্যা অনুসারে হাজির নাজির এটি একমাত্র আল্লাহ তায়ার সিফাত এবং তার জন্যই প্রযোজ্য , এমনকি নবী সা. বা কোন ওলী সব জায়গায় হাজির নাজির হতে পারে না। আল্লাহ তায়ালার সিফাতের সঙ্গে বান্দাকে মিলানো কুফর , শিরক ও চরম ভ্রষ্টতা। বিদাতীদের আক্বীদা মতে শুধু হুজুরে পাক সা. নন , বরং বুজুরগানে দ্বীনও পৃথিবীর সবকিছুকে হাতের তালুর মত দেখতে পান। তারা দূরের ও কাছের আওয়াজ শুনতে পান এবং হাজার হাজার মা...

রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বাতিলের সম্ভাব্য পরিণতি!!!

সংবিধান থেকে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম তুলে দিলে আমরা যে সকল সমস্যার সম্মুখীন হতে পারি ➖➖➖➖➖➖➖➖➖➖ শুধুমাত্র লাইক, কমেন্ট, শেয়ার, কপিই নয়! সম্ভব হলে লিফলেট ছেপে লেখাটি ছড়িয়ে দিন!! : রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বাতিলে সমস্যা কোথায়? প্রশ্নবানে জর্জরিত হচ্ছি, সমস্যা কোথায়? প্রশ্ন আসছে সব শ্রেণী থেকে। প্রথম কথা হচ্ছে, কেউ আমার হাত কাটলেও ব্যথা পাই, আঙুল কাটলেও। কারণ হাত-পা সবই আমার! ইসলামী বিধান প্রতিষ্ঠিত নাই বলে সংবিধান থেকেও মুছে দিতে হবে? হাত কাটা রুখতে পারি নি বলে পা কাটারও সুযোগ দেবো? কারো শরীরে অনুভূতি না থাকলে সেটা তার ব্যাপার, আমি কালিমা পড়েছি, দ্বীনের যে কোন বিষয়ে আঘাত আসলে আমার কলিজায় লাগে! এবার আসল কথায় ফিরে যাই; ক. ইসলামী শরী’আহ হচ্ছে কোন বিধান পালন না করলে আপনি গুনাহগার, বেঈমান নন, কিন্তু অস্বীকার করলে বেঈমান। সংবিধান থেকে সরিয়ে দেওয়ার অর্থ হচ্ছে আপনি অস্বীকার করছেন! খ. বুদ্ধিমানদের কাজ হচ্ছে ইতিহাস থেকে শিক্ষা নেওয়া, আপনি কামাল আতার্তুকের তুরস্কের ইতিহাস পড়ুন, বুঝবেন কেন আমাদের এতো মাথাব্যথা! গ. প্রধানমন্ত্রী তনয় ও আইটি উপদেষ্টা জয় সাহেবের সে বক্তব্...